শ্যামনগর

শ্যামনগর অপহরণ মামলার ভিকটিম উদ্ধার, ঘটনা দিক পাল্টাচ্ছে

By Daily Satkhira

February 23, 2017

শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার বংশীপুরে অপহরণের পর ইট ভাটায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগে দায়ের করা মামলার ভিকটিম মো: ইস্রাফিলকে (১৫) মঙ্গলবার গভীর রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ উপজেলার কেওয়া গ্রামের আব্দুস ছামাদের বাড়ি থেকে জীবন্ত উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ইস্রাফিলকে আশ্রয় দেয়ায় বাদির ছোট বোন মরিয়ম আক্তার সাথী (৪০) ও কন্যা মর্জিনাকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার তারানিপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ তার পুত্র ইসরাফিলকে (১৫) অপহরণের পর ইট ভাটায় পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলার আমলি আদালতে পৈইখালি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম, তার বড় ভাই শেখ আব্দুর রহমান সহ ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বাদির অভিযোগ, ব্যবসায়ীক পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও তার সহযোগীরা ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্রাফিলকে অপহরণ করে ভারতে পাচার কিংবা জ্বলন্ত ইট ভাটার মধ্যে ফেলে হত্যা করেছে। মামলার বাদি আব্দুল মজিদ জানান, তার পুত্র নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তার মামলা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শেখ আব্দুর রহিম তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী রেজাউল করিমের সমর্থক ছিল আব্দুল মজিদ। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়। তার সুনামে ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করানো হয়েছে। এদিকে কৈখালি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, তার এই অপহরণ মামলার সাথে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই, মামলাকারী অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দা, সে আমার কোন সমার্থকও নয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। শ্রীপুর মডেল থানার এসআই আবুল হাসান জানান, শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের আ: ছামাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মরিয়ম ও মর্জিনার বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিম ইস্রাফিলকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের হাতে আটক মরিয়ম ও মর্জিনা জানায়, তারা প্রায় দেড় বছর যাবত আব্দুস ছামাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় শারা নিট কম্পোজিট কারখানায় চাকরি করছে। গত দু’দিন আগে ইস্রাফিল তাদের বাসায় এসেছে। মামলা সংক্রান্ত ঘটনার বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। শ্যামনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালতে দায়ের করা মামলা থানায় রুজু হয়েছে। গাজীপুরে উদ্ধার হওয়া ভিকটিম ইস্রাফিলকে থানায় আনতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।