দেশের খবর: স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেলওয়ে গার্ডার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে জে-২ এবং জে-৩ পিলারে রেলওয়ের গার্ডার বসানো শুরু হয়। ইতিমধ্যে একটি গার্ডার সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এই পিলারে বসবে আরও পাঁচটি আই (শুধু রেলের জন্য) গার্ডার। জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে রেল চলাচলের জন্য এসব রেলওয়ে গার্ডার বসানো হচ্ছে। জাজিরা প্রান্তে ২৬৬ মিটার রেলওয়ে গার্ডার বসানো হবে। খবর বাসসের।
পদ্মা সেতুর কাজে নিয়োজিত উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, রেলওয়ে গার্ডার বসবে শুধু ভায়াডাক্টে। মোট ৮৪টি রেলওয়ে গার্ডার বসবে। এর মধ্যে ৩৬টি তৈরি হয়ে গেছে। বাকিগুলো তৈরির কাজ চলছে। এরমধ্যে প্রথম গার্ডার বসানো হলো শুক্রবার।
জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের সাতটি পিলারে বসানো হবে ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২ দশমিক ২০ মিটারের আই গার্ডার। এর উপরের অংশের প্রস্থ ০.৬০ মিটার এবং পাদদেশ এর প্রস্থ ০.৮০ মিটার। একটি পিলার থেকে আরেকটি পিলার পর্যন্ত ছয়টি গার্ডার বসানো হবে। জাজিরা প্রান্তে মোট গার্ডার বসানো হবে ৪২টি। গার্ডার বসানো জন্য সব পিলার প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে ১৯ মার্চ পদ্মা সেতুর রোডওয়ে স্লাব স্থাপন শুরু হয়। সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর খুঁটি থেকে ৭ এফ ইউ ৩৩” নম্বর (২২ মিটার দীর্ঘ এবং দুই মিটার প্রস্থ) স্লাবটি প্রথম স্থাপন করা হয়। এই স্লাবের ওপরেই গাড়ি চলবে। তবে এই স্লাবের ওপরে পিচঢলাই একটি স্থর থাকবে। এ পর্যন্ত ছয়টি রোডওয়ে স্লাব বসানো হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুতে দুই হাজার ৯৩১টি স্লাব বসবে। আর রেলওয়ে স্লাব স্থাপন হবে তিন হাজার ২১টি।
এদিকে, ২৩ এপ্রিল পদ্মা সেতর আরও একটি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর খুঁটির ওপর ‘৬সি’ নম্বর স্প্যানটি বসানোর কথা রয়েছে। সে অনুয়ায়ী লিফটিং ফ্রেম ৩৫ নম্বর থেকে খুলে এনে ৩৪ নম্বর খুঁটিতে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ‘৬সি’ নম্বর স্প্যান স্থাপনের অন্যান্য প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি ইতিমধ্যে কুমারভোগ কনসট্রাকশন ইয়ার্ডের সামনে নোঙর করা হয়েছে। ‘৬সি’ নম্বর স্প্যানটিও জেটির সামনে স্থাপন উপযোগী করে রাখা হয়েছে। ২২ এপ্রিল স্প্যানটি ৩৩ ও ৩৪ নম্বর খুঁটির সামনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।