নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ১৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম দরপত্র আহবান ও সরবরাহে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাতক্ষীরা নাগরিক মঞ্চের আহবায়ক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান মাসুম, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যাণার্জী, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, অ্যাড. আজাহারুল ইসলাম, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাংবাদিক এম জিল্লুর রহমান, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, মশিউর রহমান পলাশ, অ্যাড. সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৮ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ করা হলেও টেণ্ডারে উল্লেখিত জিনিসপত্রের মূল্য প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের আইসিইউ না থাকার পরও আড়াই কোটি টাকা মূল্যে তিনটি ভেন্টিলেশন মেশিন কেনা হয়েছে। প্রয়োজন অতিরিক্ত ছয়টি প্রটেবল এক্সরে মেশিন, চারটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও দু’টি জেনারেল এনেসথেসিয়া মেশিন কেনা হয়েছে। উপরন্তু মালামাল সরবরাহ করা না হলেও মালামাল বুঝিয়া পাওয়ার ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরারকে সাত মাস আগে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ অনিয়ম ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনায় নাগরিক মঞ্চ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভা, মতবিনিময় সভার পাশপাশি আগামি ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করা হবে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে।