নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগরের গাবুরা দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টার ২ টি অতিমাত্রায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। খসে পড়ছে দেওয়ালের প্লাস্টারসহ বিভিন্ন অংশ। সাইক্লোন শেল্টার ২টি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়। গাবুরা এলাকার পানি অতিমাত্রায় লবনাক্ত হওয়ার কারণে ভবন দুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে বিল্ডিং ধসে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীসহ শিক্ষক-কর্মচারীর জান ও মালের ক্ষতি হতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। এক্ষুনি শেল্টার ২ টি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মানের দাবি জানিয়েছেন তারা। মাদ্রাসার সুপারঃ মাওলানা মুহাঃ লিয়াকত আলী জানান, ১৯৬৭ সালে তৎকালীন মমতাজ আলী, কেরামত আলী ও কোরবান আলী সকলের সহযোগিতায় গাবুরার ডুমুরিয়া, লক্ষীখালী ও সোরা গ্রামের সংযোগ স্থলে মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন। ফলে দরিদ্র্য ও অসহায় পরিবারের সন্তানরাও পদব্রজে প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে পারেন। শিক্ষামন্ত্রালয়ের ফ্যাসালিটিজ বিভাগের আওতায় ১৯৯৮ সালের একটি দ্বিতল সাইক্লোন শেল্টার ও কারিতাস এর সৌজন্যে নির্মিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও বহুমুখী কমিউনিটি সেন্টার, এস.সি.আই.এ.এফ, স্কটল্যান্ড এর আর্থিক সহায়তায় ১৯৯২ সালে দ্বিতল সাইক্লোন শেল্টার নির্মিত হয়। ঝড় দূর্যোগ প্রবন এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার দুটি নির্মিত হওয়ায় এলাকাবাসীর বিপদের আশ্রয় স্থল হিসেবে পরিচিত লাভ করে। ঝড় দূর্যোগ বিহীন সময়ে মাদ্রাসার শ্রেণি কার্যক্রম ও স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হিসেবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১ম শ্রেণি থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের ১৬জন শিক্ষক কর্মচারীরা লেখাপড়ায় সহায়তা করে থাকেন। কেন্দ্রীয় পরীক্ষা গুলোতে পাশের হার খুবই সন্তোষজনক। ডুমুরিয়া মৌজার ১একর জমিতে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসটি অবস্থিত। অথচ বর্তমানে সাইক্লোন শেল্টার দুটি মারাতœক ফাটল ধরে নাজুক অবস্থায় ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ভীত হয়েও বাধ্য হয়ে শ্রেণি কার্য্যক্রম ও অফিসিয়াল কার্য্যক্রম করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় যে কোন মুহুর্তে অপুরনীয় ক্ষতি হতে পারে। বিধায় সাইক্লোন শেল্টার দুটি কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্তক্ষেপে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে বিকল্প শ্রেণিকক্ষ সম্প্রসারনের সরকারি ও বে-সরকারি সংস্থার নিকট আহবান জানিয়েছেন গাবুরার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি,এম মাসুদুল আলম ও মাদ্রাসার সভাপতি ইউপি সদস্য জি,এম আবিয়ার রহমান।