নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাসহ সম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া সকল নারী হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখা সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালন করে। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষের সভাপতিত্বে ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, অ্যাড. অনিত মুখার্জী, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, জাসদ নেতা সুধাংশু সরকার,জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যো¯œা দত্ত, জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ, নিত্যানন্দ আমিন, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, মানবাধিকার কর্মী মাদব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ফেনী জেলার সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা তুলে না নেওয়ায় তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সেলিনা গোমেজ, মামনি দেবসহ কয়েকজন নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাতক্ষীরা সদরের আখড়াখোলা বাজারে পাঁচটি সাধুখাঁ পরিবারকে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে তাদের জমিদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চোরাচালানি আলাউদ্দিন। সে ওইসব পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। একই উপজেলার খড়িয়াডাঙা গ্রামে বাসন্তীপুজা উপলক্ষে কুখ্যাত ডাকাত আব্দুল কাদের, আবুল কাশেম, আশরাফুল ইসলাম, মিমসহ একটি সন্ত্রাসী মহল হামলা চালিয়েছে। তাদেও পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্কুল ও কলেজে যেতে পারছে না। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাজারে ও কর্মস্থলে যেতে পারছে না। একইভাবে কালিগঞ্জের জয়পত্রকাটি নামযজ্ঞস্থল থেকে শিখারানী ম-ল ও তার ভাই সুজনকে মজিদ-জাকির বাহিনী তুলে নিয়ে মোবাইল ফোন, টাকা ও সোনার গহনা লুটপাট করেছে।। তারা সুজনের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন চেয়েছে। টাকা না পেয়ে ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। এসব ঘটনাসহ দেজজুড়ে সকল নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।