সাতক্ষীরা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গ্রাম আদালতে বিকল্প নেই

By daily satkhira

April 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গ্রাম আদালতে বিকল্প নেই। গ্রামীণ জনগণ বিশেষ করে নারী,দরিদ্রও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহজে ও দোড়গোড়ায় আইন সেবা নিশ্চিত করনে এ আদালত বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে। গতকাল সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ হলরুমে অনুষ্ঠিত, গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি সক্রিয়করণ ২য় প্রকল্পে’র কার্যক্রম পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক এক মত বিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি এর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এ মতবিনিময় জেলার সভায় তালা, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, গ্রামআদালতের উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এস, এম, মোস্তফাকামাল বলেন, গ্রামে অনেক ছোট খাটো ঘটনা ঘটলেও এখনও কিছু মানুষ তার প্রতিকার চাইতে থানা বা জেলা আদালতে আসেন। সে ক্ষেত্রে তাদের অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হয় । এতে করে তারা আরো সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন। এ জাতীয় ছোট-খাট সমস্যা স্বল্পসময়ে, অল্প খরচে গ্রামআদালতেই নিস্পত্তি করা যায়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গ্রামআদালতে বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার গ্রাম আদালত কার্যকরীকরতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও সক্রিয়। আসুন আমরা সবাইমিলে গ্রাম আদালতকে কার্যকরী করে তুলি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশসুপার ইলতুষমিস বলেন গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত মামলা থানাতে যাতে আর না নেয় তার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিটি থানা এবং পুলিশ ফাড়িতে কার্যকরী নোটিশ প্রদান করা হবে।সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলালিগ্যাল এইড অফিসার সালমা আক্তার বক্তব্যে বলেন, উচ্চত্বর আদালতের মামলার জট কমাতে গ্রামআদালত কার্যকরী করণের বিকল্প নাই। তিনি আরো বলেন গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভুক্ত মামলা কোটে আসলে তা গ্রাম আদালতেই প্রেরন করা হবে । গ্রামআদালত সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে তার সাথে সারসরি যোগাযোগ করা যাবে। সভায় উপস্থিত অধিকাংশই উপিচেয়ারম্যানরা দাবি করেন, গ্রাম আদালতকে কার্যকরী করতে হলে আইনের কিছ ুবিষয় সংশোধন এবং সংযোজন করতে হবে। বিশেষত সমনে বাদি হাজির না হলে তার যথার্থ প্রতিকার, টাকার এখতিয়ার বৃদ্ধি, জমির মূল্যের পরিবর্তে পরিমান প্রভৃতি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী,এছাড়া কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সভায়সভাপতিত্ব করেন এম,এম, মাহমুদুররহমান, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, তিনি তার বক্তব্যে সকল চেয়ারম্যানদেরকে গ্রামআদালত সংক্রান্ত বাজেটে বরাদ্দ রাখার আহবান জানান। ইউনিয়ন তথ্য বাতায়নে গ্রাম আদালতের তথ্য নিয়মিত আপডেট করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় প্রকল্পের কার্যক্রম এর উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন এস, এম, রাজু জবেদ, ডিএফ, ইউএনডিপি। তিনি জানান গ্রামআদালতে এ পর্যন্ত ৫০৫৪ মামলা হয়েছে যারমধ্যে ৪৯৪৬ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তিনি গ্রামআদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর বিচারিক সুবিধার কথা সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্তঅঞ্চলের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ বিশেষ করে নারীদের মাঝে পৌঁছে দেবার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান। বক্তব্য রাখেন,আব্দুল কাদের, সহকারী পরিচালক যুবউন্নয়ন , মোজাম্মেল হক জেলা তথ্য অফিসার, নজরুল ইসলাম প্রকল্পসমন্বয়কারী, এভিসিবি-২, ওয়েভফাউন্ডেশন, ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আশরাফুল হোসেন, মতিয়ার রহমান,আলহাজ্ব বখতিয়ার আহম্মেদ, আব্দুল আলিম প্রমূখ।

দালতে বিকল্প নেই। গ্রামীণ জনগণ বিশেষ করে নারী,দরিদ্রও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহজে ও দোড়গোড়ায় আইন সেবা নিশ্চিত করনে এ আদালত বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে। গতকাল সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ হলরুমে অনুষ্ঠিত, গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি সক্রিয়করণ ২য় প্রকল্পে’র কার্যক্রম পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক এক মত বিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি এর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত এ মতবিনিময় জেলার সভায় তালা, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, গ্রামআদালতের উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এস, এম, মোস্তফাকামাল বলেন, গ্রামে অনেক ছোট খাটো ঘটনা ঘটলেও এখনও কিছু মানুষ তার প্রতিকার চাইতে থানা বা জেলা আদালতে আসেন। সে ক্ষেত্রে তাদের অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হয় । এতে করে তারা আরো সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন। এ জাতীয় ছোট-খাট সমস্যা স্বল্পসময়ে, অল্প খরচে গ্রামআদালতেই নিস্পত্তি করা যায়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গ্রামআদালতে বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার গ্রাম আদালত কার্যকরীকরতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও সক্রিয়। আসুন আমরা সবাইমিলে গ্রাম আদালতকে কার্যকরী করে তুলি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশসুপার ইলতুষমিস বলেন গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত মামলা থানাতে যাতে আর না নেয় তার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিটি থানা এবং পুলিশ ফাড়িতে কার্যকরী নোটিশ প্রদান করা হবে।সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলালিগ্যাল এইড অফিসার সালমা আক্তার বক্তব্যে বলেন, উচ্চত্বর আদালতের মামলার জট কমাতে গ্রামআদালত কার্যকরী করণের বিকল্প নাই। তিনি আরো বলেন গ্রাম আদালতের এখতিয়ার ভুক্ত মামলা কোটে আসলে তা গ্রাম আদালতেই প্রেরন করা হবে । গ্রামআদালত সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে তার সাথে সারসরি যোগাযোগ করা যাবে। সভায় উপস্থিত অধিকাংশই উপিচেয়ারম্যানরা দাবি করেন, গ্রাম আদালতকে কার্যকরী করতে হলে আইনের কিছ ুবিষয় সংশোধন এবং সংযোজন করতে হবে। বিশেষত সমনে বাদি হাজির না হলে তার যথার্থ প্রতিকার, টাকার এখতিয়ার বৃদ্ধি, জমির মূল্যের পরিবর্তে পরিমান প্রভৃতি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী,এছাড়া কালিগঞ্জ, শ্যামনগর, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সভায়সভাপতিত্ব করেন এম,এম, মাহমুদুররহমান, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, তিনি তার বক্তব্যে সকল চেয়ারম্যানদেরকে গ্রামআদালত সংক্রান্ত বাজেটে বরাদ্দ রাখার আহবান জানান। ইউনিয়ন তথ্য বাতায়নে গ্রাম আদালতের তথ্য নিয়মিত আপডেট করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় প্রকল্পের কার্যক্রম এর উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন এস, এম, রাজু জবেদ, ডিএফ, ইউএনডিপি। তিনি জানান গ্রামআদালতে এ পর্যন্ত ৫০৫৪ মামলা হয়েছে যারমধ্যে ৪৯৪৬ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তিনি গ্রামআদালত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর বিচারিক সুবিধার কথা সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্তঅঞ্চলের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ বিশেষ করে নারীদের মাঝে পৌঁছে দেবার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান। বক্তব্য রাখেন,আব্দুল কাদের, সহকারী পরিচালক যুবউন্নয়ন , মোজাম্মেল হক জেলা তথ্য অফিসার, নজরুল ইসলাম প্রকল্পসমন্বয়কারী, এভিসিবি-২, ওয়েভফাউন্ডেশন, ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আশরাফুল হোসেন, মতিয়ার রহমান,আলহাজ্ব বখতিয়ার আহম্মেদ, আব্দুল আলিম প্রমূখ।