খেলার খবর: বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে, তাই ততই আলোচনা হচ্ছে আসরে কার সম্ভাবনা কেমন। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের কমতি নেই। দলের কোচ স্টিভ রোডস হতাশ করেননি লাল-সবুজের দলের সমর্থকদের। তাঁর মতে, আসন্ন বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলার সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ নিয়ে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে রোডস বলেন, ‘বিশ্বকাপে কিছু ভালো দল যাবে। সেখানে বাংলাদেশের ভালো করাটা কঠিনই হবে। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশকে শ্রদ্ধা করে অনেকেই। তাদের হারানোর সামর্থ্য আছে আমাদের। আমরা অতীতে প্রমাণ করেছি।’
শুধু তাই নয় বাংলাদেশের নকআউট পর্বে খেলার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন দলের প্রধান কোচ, ‘বাংলাদেশ এর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছে। তবে এবারের বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলতে হলে নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে।’
বাংলাদেশের এই দলটি অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এ সম্পর্কে রোডস বলেন, ‘আমাদের এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যাঁরা কয়েকটি বিশ্বকাপে খেলেছে। অনেক ওয়ানডেতে খেলার অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। আমার মনে হয়, কয়েকজন খেলোয়াড়ের ভালো করার এখনই সময়।’
আলোচনায় এসেছে সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ডাবল সেঞ্চুরি করা সৌম্য সরকারের নামও। বিশ্বকাপে তিনি কোন পজিশনে খেলবেন এ সম্পর্কে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ ডান-বাঁ কম্বিনেশন। তবে সৌম্য ঢাকা লিগের শেষ দুই ম্যাচে যা করেছে, সেটিও আমার ভালো লেগেছে। আমি এখনই বলতে চাই না, বিশ্বকাপর উদ্বোধনীতে কারা খেলবেন। তবে সৌম্য-লিটন, দুজনের ওপরই আমার আস্থা আছে।’
আর তামিম সম্পর্কে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘তামিম দারুণ একজন পেশাদার ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল হতে হলে কী করতে হবে তা ভালো জানে সে। সে খুবই ভালো অবস্থায় আছে। সে বিস্ময়কর একজন খেলোয়াড় ও খুব ভালো একজন পেশাদার।’
বাংলাদেশ দল আগামী ১ মে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। বিশ্বকাপের আগে স্বাগতিক দল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলবে তারা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ২ জুন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মোকাবিলা করবে লাল-সবুজের দল।
বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ রাহি।