জাতীয়

মোটরসাইকেল ব্রেক কষলে পড়ে যান লাবণ্য, পেছনে ছিল কাভার্ডভ্যান

By daily satkhira

April 26, 2019

দেশের খবর: মোটরসাইকেলে ছিলেন ফাহমিদা হক লাবণ্য। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ার সেবা নিয়েছিলেন তিনি। মোটরসাইকেলের চালক সুমন জানান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র একজন লোককে মোটরসাইকেলের সামনে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখে ব্রেক কষেন তিনি। এতেই লাবণ্য মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান রাস্তায়। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান লাবণ্যকে ধাক্কা দেয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে ঘটনাস্থলে নিহত হন লাবণ্য (২১)। তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাসা শ্যামলী ৩ নম্বর রোডে।

লাবণ্য শ্যামলী থেকে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ‘উবার’-এর একটি মোটরসাইকেলে চড়ে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মোটরসাইকেল চালক মো. সুমন হোসেন। গতকাল দিবাগত রাতে তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে মোটরসাইকেলচালক মো. সুমন হোসেনকে আটক করেন। ওই বাসার নিচতলার গ্যারেজ থেকে ফাহমিদা হক লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটরবাইকটি উদ্ধার করা হয়। মোটরবাইকটির নম্বর ঢাকা মেট্রো হ ৩৬-২৩৫৮। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই তথ্য জানানো হয়।

এ ঘটনার পর থেকেই লাবণ্যকে বহনকারী মোটরবাইক চালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মোটরসাইকেলসহ চালক পালিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার সময় তিনি ভুল ঠিকানা উল্লেখ করেন। উবার চালক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সময় ওই চালক যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, সেটাও সঠিক নয়। পাশাপাশি মোটরবাইকটি কেনার সময় তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন, সেটাও সঠিক পাওয়া যায়নি।

আটক সুমন জানান, ঘটনার দিন সকালে কলেজগেটে অবস্থানকালে তার চেয়ে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থানকারী একজন উবার কলারের (ফাহমিদা হক লাবণ্য) কল পেয়ে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে সুমন তাঁকে ফোন করেন। ফাহমিদা হক লাবণ্য খিলগাঁও ছায়াবীথি মসজিদের সামনে যেতে চান জানিয়ে সুমনকে শ্যামলী ৩ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাসার সামনে যেতে বলেন। লাবণ্য শ্যামলী ৩ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাসার সামনে সুমনের মোটরসাইকেলে ওঠেন। রাস্তায় যানজট ছিল। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র একজন লোককে মোটরসাইকেলের সামনে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখে সুমন ব্রেক কষেন। এতে লাবণ্য মোটরসাইকেলের ডানদিকে পড়ে যান। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান পেছন দিকে তাঁকে ধাক্কা দেয়।

পুলিশ আরো জানিয়েছে, ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে। কাভার্ডভ্যানটির চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।