দেশের খবর: টাঙ্গাইলে পৃথক তিনটি স্থান থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার থানা পাড়ার শান্তিকুঞ্জ মোড়, আদালতপাড়া এবং নামদার কুমুল্লী এলাকা থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কলেজছাত্র মাসুদের লাশ উদ্ধার
মাজহারুল ইসলাম মাসুদ নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে শহরের থানাপাড়া শান্তিকুঞ্জ মোড় এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ময়মনসিংহ ত্রিশাল মধ্যপাড়া এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
মাসুদের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রাতে মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে টাঙ্গাইলে চলে আসি। আমার ভাইয়ের দুই হাতে ও দুই পায়ে এবং গলায় সাদা কস্টেপ পেছানো রয়েছে। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগেও আমার ভাইকে একাধিকবার মোবাইলফোনে হুমকি দিলে টাঙ্গাইল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এরপর গতরাতে আমার ভাইকে হত্যা করে। আমি ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করছি।’
সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন, ‘মাসুদ একজন ভালো ছাত্র ছিল। তার ফলাফলও ভালো ছিল। অকালে তার মৃত্যু হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি। এর সঠিক বিচার দাবি করছি।’
টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, ‘কক্ষের দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা।’
পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার
পুকুরে গোসল করতে নেমে দীপক কুমার সরকার নামে এক ব্যক্তি নিহত মারা গেছেন। শনিবার সকালে শহরের আদালতপাড়া পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বাসাইল পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মুধসুধন সরকারের ছেলে।
নিহতের ভাই প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, দীপক কুমার সরকার শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিমুল জেন্টস পার্লারে কাজ করতেন। সকালে পুকুরে গোসল করতে নামলে কিছুক্ষণ পর তার লাশ পানিতে ভেসে ওঠে।
যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সাব্বির নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের নামদার কুমুল্লী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাব্বির ওই এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজমেরী রহমান মুন্নী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে দেড় মাস আগে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে কয়েক দফায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে আনতে যান সাব্বির। কিন্তু তার সঙ্গে স্ত্রী না এসে উল্টো ঝগড়া করেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও তার স্ত্রীকে আনার জন্য গেলে তার সঙ্গে আসেনি। পরে শুক্রবার রাতে তার কক্ষে ঘুমাতে যান সাব্বির। শনিবার সকালে ঘুম থেকে না উঠায় পরিবারের লোকজন কক্ষের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।