সাতক্ষীরা

জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল এবং হয়রানি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

April 28, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক : পলাশপোলে আদালতে বিচারাধীন সম্পত্তি জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ করেন পলাশ এলাকার আব্দুল জলিলের পুত্র আল জামী। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, পলাশপোল মৌজায় খতিয়ান নং- সিএস-১০৫৫, এস এ- ১০৮৬, দাগ নং- ১১৪৬৭, ১১৪৬৮ জমি পরিমাণ সাড়ে ৪ শতক সম্পত্তির মূল মালিক আমার দাদা বাবুর আলী সরদারের সাথে জরিনা খাতুনের বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় পলাশপোল এলাকার মৃত. শওকত আলী খানের পুত্র কুখ্যাত সোনাচোরাকারবারি কামরুজ্জামান বুলু ওই সম্পত্তি জরিনা খাতুনের কাছ থেকে ক্রয় করেন। যা আইনত অবৈধ। এদিকে অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালত বাবুর আলী সরদারের ওয়ারেশগনকে বাদ দিয়ে জরিনা খাতুনের পক্ষে একতরফা ডিক্রি দেন। সেখানে কামরুজ্জামান বুলু কোনভাবে সম্পৃক্ত নন। কিন্তু তারপরও ওই একতরফা ডিক্রির উপর ভিত্তি করে গত ২৮নভেম্বর ১৮ তারিখে কামরুজ্জামান বুলু কালো টাকার প্রভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তিনতলা ভবনসহ দোকানপাট ভাংচুর করে উক্ত সম্পত্তি দখল করেন। অন্যদিকে ওই ডিক্রির বিরুদ্ধে আমরা সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মামলা দায়ের করি। আদালত সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১১এপ্রিল১৯ তারিখে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মূল দেং-২২৪/৮৯ নং মোকদ্দমার রায় ডিক্রি স্থাগিত করেন। এরপ্রেক্ষিতে গত ২৪এপ্রিল১৯ তারিখে আমাদের সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছিলাম। ৫ফুটের মত প্রাচীর উঠানোর পর সাতক্ষীরা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যে পর্যন্ত কাজ হয়েছে ওই পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। আমরা প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ বন্ধ করে দেই। কিন্তু পরবর্তীতে কামরুজ্জামান বুলু, তার স্ত্রী মনজুয়ারা ইমতিয়াজ, পুত্র পিয়াস, গাড়ীর ড্রাইভার সোহাগ, ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে ওই প্রাচীর ভাংচুর শুরু করে এবং নিজের বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করে। সে সময় আমরা কেউ ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সেখানে তাকে মারপিটের কোন ঘটনাই ঘটেনি। সিনিয়র সহকারী জজ আদালত জরিনার ডিক্রি স্থাগিত করায় কামরুজ্জামান বুলু আমাদের উপর ক্ষিপ্ত ওঠে এবং ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে তার দখল রাখতে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এর জের ধরে গত ২৪এপ্রিল১৯ তারিখে আমাদের প্রাচীর ভাংচুর করে, নিজের বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর আমাদের এবং পড়ে গিয়ে আহত আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। আমরা পরবর্তীতে স্থানীয়দের মুখে জানতে পারি সে বাড়ির সিড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে পড়ে আহত হন। ওই বিষয়টিকে পুজি করে আমার পিতা, চাচা ও ভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগে কামরুজ্জামান বুলু যাদের নাম উল্লেখ করেছে তাদের মধ্যে একজন রাজশাহীতে, একজন ঢাকাতে এবং কয়েকজন শহরের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তারা এবিষয়ে কিছুই জানেনা। কামরুজ্জামান বুলু সাতক্ষীরার কুখ্যাত সোনা চোরাকারবারি হিসেবে পরিচিত। অবৈধপথে অর্থ উপার্জন করে বুলু বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। স্ত্রীও রয়েছে দুটি। একই ভবনে দুই স্ত্রীকে রেখেছেন। আর ওই কালো টাকার প্রভাবে বুলু আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে মামলার নিস্পত্তি না হওয়ার পূর্বেই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জরিনা খাতুনের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেন এবং বিভিন্ন দপ্তরে লক্ষ লক্ষ টাকা ছড়িয়ে আমাদের তিনতলা ভবন ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট করে। এসময় ওই ভবনে থাকা দেশ টিভির অফিসও ভাংচুর করে এবং মালামাল লুটপাট করে কামরুজ্জামান বুলু। এঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে, আশাশুনিতে ও শ্যামনগরে স্বর্ণচোরাকারবারি বুলুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। যার পরদিন স্থানীয় দৈনিক কালেরচিত্র, পত্রদূত, দৃষ্টিপাতসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই স্বর্ণচোরাকারবারি কামরুজ্জামান বুলুর হাত থেকে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার এবং তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।