জাতীয়

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল

By Daily Satkhira

May 02, 2019

দেশের খবর: শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় `ফণি’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে নিজ নিজ স্টেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন-১) উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এসব তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সব শাখাও বুধবার থেকে যথারীতি খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জরুরি সাড়াদান কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণির জন্য আলাদা কোনও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়নি। তবে অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ফণির জন্য কন্ট্রোল রুমে আরও লোক বসানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মোমেনা খাতুন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ফণীর গতিপথ সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান ও সম্ভাব্য পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষসহ অফিস খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।

খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “ফণি”-এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।