সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণের দাবি হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার সমর্থক শুক্রবার ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে।
ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরে জুমার নামাজের পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজত নেতারা সমাবেশে হুমকি দিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা না হলে ‘শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য এই কট্টর ইসলামপন্থী দলটি ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার শাপলা চত্বরে কয়েক লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছিল। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী সেই সমাবেশে অভিযান চালিয়ে হেফাজত সমর্থকদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। হেফাজতে ইসলামের সেবারের বিক্ষোভটি ছিল বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন করার দাবিতে।
সেই অভিযানে বেশ কিছু মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা এই ভাস্কর্য নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই হেফাজতে ইসলাম-সহ কয়েকটি দল আপত্তি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু এই প্রথম ঢাকায় এরকম বড় কোন সমাবেশ থেকে দলটি গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের জন্য সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হলো।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করেন। এদের বেশিরভাগই ছিলেন ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র।
জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। সেখানে সংগঠনের নেতা নুর হোসেন কাশেমি সহ অনেকে বক্তৃতা দেন।
সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সবার প্রতিষ্ঠান। কাজেই সেখানে এরকম মূর্তি স্থাপন করা যাবে না।
হেফাজত নেতারা বলেছেন, মূর্তি অপসারণের দাবিতে তাদের কর্মসূচি শুরু হলো মাত্র। সরকার যদি তাদের দাবি না মানে তাহলে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে হুমকি দেন সংগঠনের নীচের স্তরের কয়েক জন নেতা।
সমাবেশ শেষে কড়া পুলিশ পাহারায় হেফাজতে ইসলামের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।