বিদেশের খবর: প্রলয়ংকরী শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ফনির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে দক্ষিণ ভারতসহ ভারতের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ফনির প্রভাবে কলকাতাসহ দক্ষিণ ভারতে প্রবল বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাস আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
ফনির প্রভাব ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, আগামী শুক্র ও শনিবার (৩ ও ৪ মে) কলকাতার সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার দু’ধারে থাকা শহরের সব হোল্ডিং নামিয়ে ফেলা হবে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই সব হোল্ডিং খুলে ফেলা হবে।
এছাড়া গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে এনে টানা দু’মাসের জন্য সরকারি স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুলশিক্ষা দফতর৷ ৩ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা দু’মাস রাজ্যের সব সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল ছুটি থাকবে।
ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ফনি শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ৩-৪ মাত্রায় পরিণত হতে পারে। এর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারে উঠতে পারে।
ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে হ্যারিকেনের তীব্রতাসম্পন্ন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি। ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উপকূলের দিকে।
চার দিন আগে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া ফনি আগামী শুক্রবার পুরির দক্ষিণে গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।
তখন বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
অবশ্য ধীরগতিতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে অতি প্রবল হয়ে ওঠা এ ঝড় গতিপথ বদল করলে বদলে যেতে পারে উপকূল অতিক্রম করার সময় ও স্থান।
তবে এখনও উপকূল থেকে গড়ে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে থাকায় মাঝপথে ঝড়টির গতিমুখ পরিবর্তনের শঙ্কাও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশও আশঙ্কা মুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।