দেশের খবর: সাতক্ষীরা, রংপুর, খুলনা, পটুয়াখালি, ভোলা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট সহ মোট ১৯টি জেলার কৃষকদের জন্য বিশেষ বার্তা প্রদান করা করেছে কৃষি তথ্য সার্ভিস। যেসব এলাকায় বা জমির বোরোধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে সেগুলো দ্রুত কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। কারণ ফণীর প্রভাবে এসব এলাকায় তীব্র বেগে বাতাস ও টানা চারদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। এতে করে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি বিষয়ক আবহাওয়া বার্তায় কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুধু ধানই নয়, পরিপক্ক মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, কাউন, চিনাবাদাম, রবি ভুট্টা ও বিভিন্ন শাক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করে নিতে হবে। এসব এলাকায় ফনির প্রভাবে যে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তাতে এসব ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বা ঝড়ের সম্ভবনার সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শুক্র থেকে সোমবার পর্যন্ত মোট চারদিন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত সময়ে জমিতে সেচ, সার ও কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে। পাশাপাশি সেচনালা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে করে ধানের জমিতে অতিরিক্ত পানি না জমে থাকে। যেসব ফসল কাটার উপযোগী নয় সেগুলোকে রক্ষা করে চারপাশে উচু বাধ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
যেহেতু ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে তাই এই মুহূর্তে বীজবপন ও চারা রোপন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯টি জেলায় বিশেষ সতর্কবার্তা দেয়া হলেও সারাদেশের কৃষকদেরকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু এটা বোরোর মৌসুম। তথ্যগুলো দ্রুত কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে টিভি ও রেডিওতে বিশেষ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ১৯টি জেলার সকল মাঠ কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যারা নিজেরা এবং বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষকদের কাছে এসব তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে। বরিশালের একটি কমিউনিটি রেডিওর সব অনুষ্ঠান বাতিল করে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের কৃষিবিদ ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বোরোর মৌসুম হওয়ার কারণে সারাদেশের কৃষকদের জন্যই এসব সতর্কতা প্রদান করা হয়েছে। কারণ সারাদেশেই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যে ১৯টি জেলা বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে বিশেষভাবে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যাতে করে কৃষকদের ক্ষতি না হয় বা কমিয়ে আনা যায়। এসব জেলায় কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।’