ফিচার

সাতক্ষীরার প্রায় ১০ হাজার মানুষ ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে

By Daily Satkhira

May 03, 2019

আব্দুল জলিল: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। প্রচন্ড গরম ও গুমোট ভাব লক্ষ্য করা গেছে।এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট গুলি যে কোনো মূহুর্তে ধসে যেতে পারে বলে খবর পাওয়া গেছে। কয়েকস্থানে বেড়ি বাঁধ উপচে পানি উঠতে শুরু করেছে। শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ও আনুলিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেখানে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগও বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছেন। ১৩৭ টি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ , মিলনায়তন খুলে রাখা হয়েছে। আশ্রয়গ্রহনকারীদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন মোট ১১৬ টি মেডিকেল টীম এখন মাঠে রয়েছে। সিপিপির চার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সাথে জনপ্রতিনিধিদের কর্মী বাহিনী , যুব কেন্দ্রের সদস্যরা কাজ করছেন। পৃথকভাবে পুলিশও মাঠে রয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কিভাবে সবচেয়ে ক্ষতি হয় সে বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। ফায়ার ব্রিগেড, কোষ্ট গার্ড, আনসাল সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। জেলা সব উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সাতক্ষীরার ১৩ শ’ জনপ্রতিনিধি তাদের নিজ অবস্থান থেকে ফণী মোকাবেলায় সাধ্যমত কাজ করছেন। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিং করে এসব তথ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন ক্ষয় ক্ষতি সবচেয়ে কম যাতে হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি। সকল এলাকায় লাল পতাকা তুলে মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করার কাজ চলছে। প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপি, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এবং সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম।