ফিচার

সাতক্ষীরায় বৃদ্ধার মৃত্যু ৬’শ কাঁচা ঘর ২ হাজার হেক্টর জমি ও ৫ ক‌িমি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত

By Daily Satkhira

May 04, 2019

আসাদুজ্জামান: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকুলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬’শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এদিকে, শ্যামগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গাইনবাড়ি আশ্রয় কেন্দ্রে আয়না মতি বিবি (৯২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত কওছার আলীর স্ত্রী। রাতে তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া ও প্রতাপনগর এবং দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া নামক স্থানে ইছামতী নদীর বেঁড়িবাধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুরের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বেঁড়িবাধ ভাঙনের আতংকে রয়েছে উপকুলীয় এলাকাবাসী। উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরসহ কিছু কিছু এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে মানূষ নিজ গৃহে ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। সেখানে আবহাওয়া এখন অনেকটা শান্ত রয়েছে। তবে সেখানকার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে রাতে সুপেয় পানি ও শুকনা খাবারের অভাব দেখা দেয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তবে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬’শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিদ্ধস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান, দূর্যোগ কবলিত মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে ২৭’শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি বিতরন করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ১৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখনও দুর্যোগ কবলিত মানুষ অবস্থান করছেন।