খালেদাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: রিজভী

রাজনীতির খবর: এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরকার বন্দী রেখে চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে আন্দোলনে নামার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার তাঁতী দল আয়োজিত এক প্রতীকী অনশনে অংশ নিয়ে রিজভী এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বেলা ১১টায় শুরু হয়ে ১২টায় এ অনশন শেষ হয়। 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ অনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য রাস্তায় নামতে হবে। সরকার যদি মুক্তি না দেয় তাহলে গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে নামতেই হবে।’ 

‘দেশে এক ব্যক্তির শাসন চলছে। আর তার ইচ্ছায় বাঁচা-মরা নির্ভর করছে’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

রিজভী বলেন, ‘কারাগারে খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। কারণ তিনি অসুস্থ। তাকে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। তাই সরকারকে বলবো, সুস্থভাবে বাঁচার জন্য বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন।’

আলোচিত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছেন রিজভী। তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ‘ফণী’র প্রভাব কেটে যাওয়ার পরও সরকারের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ অব্যাহত আছে। সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিলে সামান্য ক্ষয়ক্ষতিও হতো না বলে দাবি তার।

রিজভী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সরকারের কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। ফণীতে এ পর্যন্ত ১৫ জন মানুষ মারা গেছে। কিন্তু একজনও মারা যাওয়ার কথা ছিল না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার মানুষ রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই হাজার হাজার মানুষের জন্য রান্নাসহ প্রয়োজনীয় কাজের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই ব্যবস্থা কে করবে? সরকারকেই করতে হবে। কিন্তু সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। অথচ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বড় বড় কথা বলছেন!’

তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনশনে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন বাহার, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরসহ নেতাকর্মীরা অংশ নেন।