মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি: শুক্রবার মধ্য রাত থেকে প্রবল বেগে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণীঝড় ফনী’র তান্ডবে আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি দাখিল ও এবতেদায়ি মাদ্রাসার সব গুলো ক্লাস রুমের টিনসহ চাল উড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মরেজমিন মাদ্রাসা দুটিতে গিয়ে দেখা গেছে, নৈকাটি দাখিল মাদ্রাসার ৭টি ক্লাস রুমের সব কটির টিনসহ চাল উড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বিলে পড়ে আছে। একই ভাবে এবতেদায়ি মাদ্রাসার ক্লাস রুমের টিন উড়ে গিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এথটনায় দাখিল মাদ্রাসার ২৬৭জন এবং এবতেদায়ি মাদ্রাসার ১২৬জন মোট ৩৯৩জন শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ। দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অধ্য বার্ষিকি পরিক্ষা আসন্ন এমতাবস্থায় ক্লাস করতে না পারলে আমাদের খুব ক্ষতি হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার করা যায় সেটা আমাদের জন্য মঙ্গল হবে। অভিভাবক আব্দুল কুদ্দুস জানান, সরকার দেশের সব মাদ্রাসার দিকে খুব লক্ষ্য করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ মাদ্রাসা দুটি দ্রুত সংস্কার করা না গেলে শিক্ষার্থীদের বড় ক্ষতি হবে। নৈকাটি এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আক্তারুজ্জামান জানান, অবহেলিত এবতেদায়ি মাদ্রাসাটি পূর্বে থেকেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিলো। অনেক কষ্টে আমরা বাচ্চাদের ক্লাস নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গত রাতের ঘূর্ণীঝড় আমাদের প্রতিষ্ঠানের যে ক্ষতি করে দিলো তাতে আগামি কাল থেকে বাচ্চাদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকলো না। দ্রুত সংস্কার পূর্বক নিরাপদ পরিবেশে বাচ্চাদের পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার জন্য তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নেকাটি দাখিণ মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আলহাজ্জ ইমদাদুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের ৭াট ক্লাস রুমের সব গুলোর টিনসহ চাল উড়ে যাওয়ায় তারা খুবই সমস্যার মধ্যে আছে। আগামি কালের ক্লাস তাছাড়া আসন্ন অধ্য বার্ষিকি পরিক্ষা নিয়ে তারা চিন্তার আছে। সংস্কার করতে একদিন দেরি হলে সে দিনের ক্লাস গুলো খোলা আকাশের নিচে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এমতাবস্থায় দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধূতন কর্তৃ পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্জ আবুল কাশেম সরদার জানান. মাদ্রাসাটি সরকারি এবং এলাকাবাসির সহযোগিকায় পরিচালিত হয়ে আসছে। হঠাৎ করে এত বড় ক্ষতি সরকারি সাহায্য ছাড়া সংস্কার করা সম্বব নয়। তাই আমাদের সবার প্রতাশা থাকবে সরকারের মাদ্রাসা উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৈকাটি দাখিল ও এবতেদায়ি মাদ্রাসা দুটি দ্রুত শিক্ষার্থীদের পাঠদান উপযোগি করে তোলা হোক।