অনলাইন ডেস্ক: নরওয়ের মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিনর ও মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ বেরহাদ এশিয়ার ব্যবসা একীভূত করতে আলোচনা শুরু করেছে। নয়টি দেশের টেলিকম বাজার দখলে নিতেই তাদের এই একীভূতকরণ আলোচনা।
এশিয়াতে এই দুই কোম্পানির যত অবকাঠামো রয়েছে, তা একসঙ্গে ব্যবহার করতেই এমন আলাপ বলে টেলিনরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।
টেলিনর সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, চুক্তি চূড়ান্ত হলে কোম্পানির বড় অংশীদার হবে তারা। এতে টেলিনরের ৫৬.৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে। আর আজিয়াটার হাতে থাকবে বাকি ৪৩.৫ শতাংশ শেয়ার।
চূড়ান্ত আলোচনা হলে এশিয়াতে দুই কোম্পানির টেলিকম ব্যবসা ও অবকাঠামো মিলে নতুন একটি কোম্পানি গঠন করা হবে।
সেক্ষেত্রে নয়টি দেশে ৩০ কোটি গ্রাহক নিয়ে নতুন ওই কোম্পানি হবে এশিয়ার টেলিকম খাতের অন্যতম বৃহৎ শক্তি।
নরওয়ে ও মালয়েশিয়ার এ দুই কোম্পানির হাতে বাংলাদেশের শীর্ষ দুই মোবাইল কোম্পানির মালিকানার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫৫ দশমিক আট শতাংশ শেয়ারের মালিক টেলিনর। আর দ্বিতীয় বৃহত্তর মোবাইল অপারেটর রবির ৬৮.৭ শতাংশের মালিকানা আজিয়াটার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টেলিনর জানিয়েছে, দুই কোম্পানির এশিয়ায় ব্যবসা একীভূত হলেও আলাদা কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাবে রবি এবং এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে আজিয়াটার হাতে।
সাত কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। দেশের মোট মোবাইল ফোন সেবাগ্রহীতার ৪৭ শতাংশের বেশি গ্রামীণফোনের।
চার কোটি ৭৩ লাখ গ্রাহক নিয়ে দেশের মোট গ্রাহক সংখ্যার ৩০ শতাংশ রবির।
ইতিমধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধর (এসএমপি) অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে গ্রামীণফোনকে। গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনকে দেশের প্রথম এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাজারে গ্রামীণফোনের রাজস্ব শেয়ার ৫০ শতাংশ ও গ্রাহক ৪৭ শতাংশের বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের বহু দেশে কোনো অপারেটর বাজারের একটি বড় অংশ শেয়ারের নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি ঘোষণা করা হয়।
বিটিআরসির প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে- খুচরা মোবাইল সেবাসংশ্লিষ্ট বাজারের নির্ণায়কসমূহ তথা গ্রাহক সংখ্যা, অর্জিত রাজস্ব ও কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত তরঙ্গ- এই তিনটি নির্ণায়কের মধ্যে কোনো মোবাইল অপারেটর ন্যূনতম একটিতে মোট বাজারের অন্তত ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি হিসেবে নির্ধারণের বিধান রয়েছে।
এর মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এসএমপির শর্তের মধ্যে পড়েছে গ্রামীণফোন।