আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নে পান বিড়ি দোকানদার, জুতা সেলাইকারী, সুইপার, সেলুন কর্মচারি এমনকি আইনজীবী সহকারিরাও সদস্য পদ লাভ করেছেন। তারা কোনোভাবেই পেশাদার মটর শ্রমিক নন উল্লেখ করে এমন ৭০০ থেকে ৮০০ জন অশ্রমিককে নিয়ে নির্বাচন হতে পারেনা উল্লেখ করে সাধারণ শ্রমিকরা ১১ মের নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বতসহ তার সঙ্গীরা এসব কথা বলেন। তারা আরও বলেন, অশ্রমিকদের নিয়ে তৈরি ভোটার তালিকা ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনের সমন্বয়ে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। তারা বলেন, গত ২ মার্চ সাধারণ সভার মাধ্যমে এড. শেখ মো. ফারুক. শেখ হারন উর রশীদ ও মো. আবদুল্লাহ সরদারকে নিয়ে তিন সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু বর্তমান কমিটির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান ও সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ শ্রমিক জনমত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এড. ফারুক. এড. অনিত ও এড. লতিফকে নিয়ে নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেন। তাদের তৈরি ভোটার তালিকায় কোন পেশাদার শ্রমিক না থাকার কারনে নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ায় শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ জানান । লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, পক্ষপাতদুষ্ট কমিশনার আবদুল লতিফ প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়ে বলেছেন ‘কিভাবে আরশাদ-মহব্বত জয়লাভ করে তা আমি দেখে নেব’। এমনকি মনি-জাহিদ পরিষদকে নির্বাচিত ঘোষনা করা হবে এমন প্রচারও দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার গরুর খাটাল ব্যবসায়ী লতিফ। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, আরশাদ আলি, শেখ মাকছুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, আবদুস সালাম, মিরাজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম কবির, শেখ মখসুর রহমান, হুমায়ুন কবির, শওকত হোসেন, আবদুস সালাম প্রমূখ।