খেলা

মেসির বার্সাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে লিভারপুল

By Daily Satkhira

May 08, 2019

খেলার খবর: শুধু জিতলেই হতো না, গড়তে হতো ইতিহাস। তারউপর ম্যাচের আগে আক্রমণভাগের দুই তারকা মোহামেদ সালাহ ও রবের্তো ফিরমিনোকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় লিভারপুল। সে ধাক্কা কাটিয়ে দুর্দান্তভাবে জেগে উঠলো লিভারপুল। বার্সেলোনার জালে গোল উৎসব করে তুলে নিল অবিশ্বাস্য এক জয়। উঠে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।

অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে শেষ চারের ফিরতি পর্বে ৪-০ গোলে জিতে দুই লেগ মিলে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে ফাইনালে ওঠে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।

অসাধ্য সাধনে করতে হবে চার গোল, অক্ষত রাখতে হবে নিজেদের জাল-কঠিন এ সমীকরণে খেলতে নামা লিভারপুল ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে গতিতে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় থাকে। সপ্তম মিনিটে মিলে যায় সাফল্যও। ডি-বক্সের মধ্যে একজনকে কাটিয়ে জর্ডান হেন্ডারসনের নেওয়া শট কোনোমতে ফেরান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগান, কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড দিভোক ওরিগি।

আক্রমণের ঝাপটা সামলে গুছিয়ে ওঠা বার্সেলোনা চতুর্দশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। জর্দি আলবার কাটব্যাকে লিওনেল মেসির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে সময় নষ্ট করে সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করেন আর্জেন্টাইন তারকা।

খানিক পর ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মেসির বাঁ পায়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে অতিথিদের। বিরতির ঠিক আগে ডান দিক থেকে মেসির দুর্দান্ত থ্রু পাস ডি-বক্সে পেয়ে শট নেন আলবা, দারুণ ক্ষিপ্রতায় হাত বাড়িয়ে রুখে দেন আগুয়ান গোলরক্ষক আলিসন।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে কর্নারে ভার্জিল ফন ডাইকের ব্যাক হিলে ভিতরে ঢুকতে যাওয়া বল গোললাইন থেকে ফেরান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। পরের মিনিটে মেসির রক্ষণচেরা পাস পেয়ে সুয়ারেসের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক আলিসন।

প্রথমার্ধে ইংলিশ ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রু রবার্টসন পায়ে ব্যথা পেলেও খেলা চালিয়ে যান। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাকে আর নামাননি কোচ। বদলি নামান জর্জিনিয়ো ভেইনালডামকে। ডাচ এই মিডফিল্ডারের নৈপুণ্যেই অবিশ্বাস্য জয়ের আশা জোরালো হয় লিভারপুলের।

৫৪তম মিনিটে ডান দিকে আলবার পা থেকে বল কেড়ে কিছুটা এগিয়ে ক্রস বাড়ান ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড। বল একজনের পায়ে লেগে চলে যান পেনাল্টি স্পটের কাছে। জোরালো নিচু শটে  ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভেইনালডাম। এর দুই মিনিট পর বাঁ দিক থেকে সুইচ মিডফিল্ডার জেরদান সাচিরির ক্রসে সবার উপরে লাফিয়ে হেডে পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন ২৮ বছর বয়সী ভেইনালডাম।

দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-৩। কোণঠাসা হয়ে পড়া বার্সেলোনা শিবিরে জেগে ওঠে আরও একবার প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে জয়ের পরও ছিটকে পড়ার শঙ্কা।

৭৯তম মিনিটে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের হতবাক করে দিয়ে স্কোরলাইন ৪-০ করেন ওরিগি। কর্নার পায় লিভারপুল। গোলরক্ষক টের স্টেগেনসহ বার্সেলোনার রক্ষণভাগ তখনও ঠিক প্রস্তুত ছিল না, কিন্তু রেফারির বাঁশি শুনে আচমকা শট নেন অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড আর জোরালো শটে বল ঠিকানায় পাঠান ওরিগি।