সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলা মোটরশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল

By daily satkhira

May 09, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস, মাইক্রো ও কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন স্থগিত এবং অবৈধ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়ে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা মোটরশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভরত শ্রমিকরা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। আসন্ন মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং-(৫৫০) এর ত্রি-বার্ষিক সাধারন নির্বাচন ২০১৯ এ স্বতন্ত্র সভাপতি পদপ্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম রবি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাধারণ সভায় প্রকৃত শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে বর্তমান কার্যকরি কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। বারবার এর বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করা স্বত্ত্বেও সেই কমিশন বহাল রাখা হয়েছে। তারা দাবি তুলে বলেন বর্তমান কার্যকরি কমিটি আসন্ন নির্বাচনে জয়ের স্বার্থে শ্রমিক আইন অমান্য করে, যারা মোটরগাড়ীর সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন অশ্রমিক দিয়ে বাস টার্মিনালে অবস্থানরত চা-পান, বিড়ি-সিগারেটের দোকানদার, ভাংড়ি ব্যবসায়ী, ফেরিওয়ালা, কোর্টের মোহরার, জুতা সেলাইকারী, বিভিন্ন হোটেল কর্মচারী ও সেলুনের কারিগরসহ বখাটে যুবকদের প্রায় ৭/৮শত জনকে নিজেদের ইচ্ছেমতো শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যপদ দিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ের উপর বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবগত করার পরও সেই কমিশন বিষয়টি কোন গুরুত্বারোপ না করে উক্ত অবৈধ নির্বাচন কমিশন চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন এবং গত ৪ মে নির্বাচনের তারিখ ধার্য্য করেন। প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় ফণী’র আঘাত আনা স্বত্তেও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করেনি। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উক্ত নির্বাচন স্থগিত হয়। কিন্তু এই অবৈধ নির্বাচন কমিশন আবারও তাদের গায়ের জোরে আগামী ১১ মে শনিবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করে। আমরা এই অবৈধ নির্বাচন কমিশন এর পদত্যাগসহ ১১ মে’র নির্বাচনের পরিবর্তে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা এবং পূনরায় দুই পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে অশ্রমিক ছাটাই করে এবং নতুন করে প্রকৃত শ্রমিকদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তারা। তা না হলে ১১ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে উত্তেজিত মোটর শ্রমিকরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্খা করা হচ্ছে। বিষয়টি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক এনএসআই এবং সাতক্ষীরার বিশেষ গোয়েন্দা শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।