নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলার শীর্ষ স্বর্ণ চোরাকারবারী মিলন পাল ওরফে গোল্ডেন মিলনকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের দেবদাশ পালের ছেলে। শনিবার গভীর রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, গত শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে ভারতে পাচারের সময় ১৬ কেজি ৩১৮ গ্রাম স্বর্ণসহ আলিউজ্জামান নামের এক বহনকারীকে আটক করে বিজিবি। ধারণা করা হচ্ছে, বিপুল পরমিান ওই র্স্বণ পাচাররে সাথে মিলন পাল জড়তি। ওই র্স্বর্ণের মালিক মিলন পাল কিনা তা জানার জন্য পুলশি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক মিলন পাল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এদিকে, শুক্রবার সাতক্ষীরা সীমান্তে বিপুল পরিমান স্বর্ণের বার আটকের ঘটনায় জেলার অপর কয়েকজন শীর্ষ চোরাকারবারী গডফাদার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। মিলন পাল ওরফে মিলনের সাথে এদের রয়েছে বিভিন্ন চোরাচালানী ব্যবসা। অপরদিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, এই স্বর্ণ পাচারের সাখে জড়িত রয়েছে মিলন পালের ব্যবসায়িক পার্টনার মহিদুল মেম্বর, রুস্তম, ফিরোজ, বাশদাহ চোরাচালানী ঘাট মালিক নাজমুল, তলুইগাছার হাসানসহ অনেকই। জানা যায়, মিলনপাল গত ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত শহরের মিলবাজার রামপ্রসাদ দত্তের জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে শহরের নাজমুল স্মরণীতে দীগন্ত মার্কেটে শিল্পী জুয়েলার্সে কর্মচারী হিসেবে যোগাদন করেন। শিল্পী জুয়েলারীর কর্মচারী হতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হয়ে যান মিলনপাল। মিলন জুয়েলার্স নামে শহরের নাজমুল সরণিতে জুয়েলারী ব্যবসা করতে থাকেন তিনি। সূত্র জানায়, সম্প্রতি মিলন পাল আলাউদ্দীনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। মাগুরা গ্রামসহ সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিলনপালের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে এসেেেছ। মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান এবং হুন্ডির টাকা এপার ওপার করার আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট এখন তার হাতে। রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিলন পাল বিলাসবহুল মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার যোগে স্বর্ণের বড় বড় চালান পাচার করে থাকেন। আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারী ভারতের বারিক বিশ্বাসের কাছেও তিনি স্বর্ণ পাচার করে থাকেন। ২০০৫ সালের মিলন পাল ২০১৬ সালে এসে হয়েছেন মিলন বাবু। মাদক, হুন্ডি এবং স্বর্ণ চোরাচালানী পরিচালনা করে মিলন পাল শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মাগুরা (দক্ষিণপাড়া) দাশপাড়া রোডে নিতাই মুহুরীর বাঁশবাগান এলাকায় প্রায় ২ বিঘা জমি ক্রয় করে সেখানে দুই তলা বিল্ডিং হাকিয়ে বাগান বাড়ি তৈরি করেছেন। ওই বাগান বাড়িতে নিয়মিত আয়োজন করা হয় মদ ও জুয়ার আড্ডা। আর অসামাজিক কার্যকলাপতো চলছেই প্রতিনিয়ত।