আশাশুনি

আশাশুনির পঞ্চরামদের জমি জোর করে নিয়েছে রিজাউল ও তার সহযোগীরা

By daily satkhira

May 17, 2019

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কমপক্ষে ১২ বছর দখলে থাকা ২ একর ৩৫ শতক জমি সরকারের অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভূক্ত হওয়ায় আমি তা থেকে অব্যাহতির জন্য মামলা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এমনকি ওই জমিতে ১৪৫ ধারা জারি করিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা রোধেরও চেষ্টা চালিয়েছি আমি। এসব ঘটনায় সাতক্ষীরার আদালতে আসলে প্রতিপক্ষের রেজাউল , কামরুল মান্টার ও হাফিজুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের মারপিট করে আহত করে তারা। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন আশাশুনির দরগাহপুর ইউনিয়নের সোনাই গ্রামের পঞ্চরাম মন্ডল। এ সময় তার ভাই কার্তিক মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন ওই সম্পত্তির ১ একর ৬৩ শতক তার বাবা পবনচন্দ্র মন্ডল ও কাকা ১২ বছর দখল করে আসছেন। কিন্তু অর্পিত সম্পত্তি হওয়ায় সরকারের কাছ থেকে তা ইজারা নেওয়ার আবেদন করি। তিনি জানান এই সুযোগে রামনগর গ্রামের আনসার আলির ছেলে রিজাউল, আবেদ আলি সরদারের ছেলে শামসুর, দরগাহপুরের তারুন শেখ, সুমন সরদার, হাফিজ সরদার, শেখ খলিলুল্লাহ, কামরুল মাস্টার কৌশলে জাল দলিল খাড়া করে ওই জমি তাদের রেকর্ডীয় বলে দাবি করে। এ ঘটনার বিরুদ্ধে পঞ্চরাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার মামলা করেন। আশাশুনি থানা পুলিশ এর প্রেক্ষিতে দুই পক্ষকে ডেকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। এমনকি ওই জমিতে না যাবার জন্য তাদের নির্দেশ দেয় পুলিশ। পঞ্চরাম অভিযোগ করে বলেন পুলিশের এই নির্দেশনা লংঘন করে জাল দলিল সৃষ্টিাকারীরা ওই জমিতে বেড়ি বাঁধ দেওয়া ও ঘের বাসা নির্মান কাজ শুরু করে। পঞ্চরাম আরও বলেন ঘেরে বাঁধ নির্মানের পরদিন রিজাউল কামরুল গং আমাদের রেকর্ডীয় জমিতে হানা দেয়। তারা ২৫ মার্চ তারিখে আমাদের অনুপস্থিতিতে আমাদের বাড়িতে হানা দিয়ে পূজার ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ৭০/৮০ জনের সন্ত্রাসী নিয়ে ঘেরটি দখল করে নেয়। তারা আমাদের ঘেরের বাসায় আগুন দিয়ে নিজেরা বাসা তৈরি করে সেখানে ১০/১২ জন রাতে অবস্থান করে। এ বিষয়ে আমি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে এসি ল্যান্ড ও নায়েব তদন্ত করে জানতে পারেন বিবদমান জমির মূল মালিক আভা রানী ভারতে চলে যাওয়ায় তা অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভূক্ত হয়েছে। সেই জমিতে আমরা ভোগ দখলে আছি ১২ বছর যাবত। তিনি বলেন পূজার ঘর জ¦ালানোর ঘটনায় আমি পৃথক মামলাও করি। রিজাউল গং এখন পঞ্চরামদের ঘেরের মাছ লুটেপুটে খাচ্ছে। পঞ্চরাম অভিযোগ করে বলেন গত ১৩ মে তারিখে ১৪৫ ধারার মামলার ধার্য দিনে সাতক্ষীরা আদালতে এলে এক নম্বর ভবনের সামনে বেলা ১১ টার দিকে রিজাউল কামরুল ও হাফিজ সহ অনেকেই আমাকে ও আমার ভাই কার্তিককে মারপিট করে জমির কাগজপত্র, ১৫ হাজার টাকা , স্বাক্ষরিত ১০০ টাকার অলিখিত স্ট্যাম্প জোর করে কেড়ে নেয়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করি। বিষয়টি এখন তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। পঞ্চরাম অভিযোগ করে আরও বলেন ্এসবের পরও তারা এখন ঘের এলাকায় ও আমাদের বাড়ির আশপাশে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে মহড়া দিচ্ছে। আমাদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। আদালত এলাকায় যারা তাদের ওপর হামলা করেছিল তারা হলো রিজাউল, কামরুল, হাফিজ, রবিউল, শামসুর ও সাইদুল। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পঞ্চরাম সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা চেয়েছেন।