দেশের খবর: নারায়ণগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের সামনে আইনজীবী স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ পরিদর্শক স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত আইনজীবী জাসমীন আহমেদকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাসমীনের পেট ও বুকে উপর্যুপরি লাথি মারা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নারায়ণগঞ্জ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আব্দুর রউফ বলেন, মুসলিম ও পারিবারিক আইনে অতিরিক্ত পিপি জাসমীন আহমেদ তার স্বামী পুলিশ পরিদর্শক আবু নকীব, তার মা জুবরিয়া বেগম ও ছোট ভাই আবু নাছের নিপুণের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তারা তিনজন আট সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন। এ জামিননামা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে গতকাল দুপুরে দাখিল করতে এসেছিলেন তারা। দুপুর ১২টায় জামিননামা দাখিল শেষে বের হওয়ার পথে আদালতের দরজার সামনে দেখা হয় মামলার বাদী জাসমীনের সঙ্গে। ওই সময় জাসমীন তাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়লে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী আবু নকীব ও তার ছোট ভাই নিপুণ তাকে মারধর করেন। তখন আশপাশের আইনজীবীরা এসে জাসমীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর তাদের ওপর ফুঁসে উঠে আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষ। ওই সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে আবু নকীব, তার ভাই ও মাকে কোর্ট গারদে নিয়ে আটক রাখে পুলিশ।
আবু নকীবের বরাত দিয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকা ট্রাফিক পুলিশে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক আবু নকীব অনেক আগেই তার স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ এপিপি জাসমীন আহমেদকে তালাক দিয়েছেন। এরপর আবু নকীব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে জাসমীন আহমেদ একাধিক মামলা করেছেন। গতকাল একটি মামলায় জামিননামা দাখিল করতে এলে জাসমীন তাদের ওপর চড়াও হয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।
জাসমীন আহমেদ বলেন, আবু নকীব প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে প্রতারণা করে আমাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর থেকে একাধিকবার আমার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে যৌতুক হিসেবে। সংসারের কথা চিন্তা করে তার নানা নির্যাতন সহ্য করেছি। আমি একজন আইনজীবী হয়েও নির্যাতিত। তার পরও স্বামীর সংসারের জন্য অনেক লড়াই করতে হচ্ছে। এখন নির্যাতনের শিকার হলাম আদালতের দরজায়। আমি এর বিচার চাইব।