সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারআশাশুনিতে সরকারি কর্মকর্তা জন প্রতিনিধিদের নিয়ে ডায়ালগদেবহাটায় ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়সাতক্ষীরা ট্রিবিউন ও দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার উদ্যোগে ইফতারআশাশুনিতে মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা: ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ লুটতালার শিশু মেহজামিনকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদনসাতক্ষীরায় নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাজারে আসছে নারী ন্যাপকিনসাতক্ষীরা জামায়াতের ইফতার মাহফিলে দেশের স্বার্থে ঐক্য অটুট রাখার প্রত্যয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দেরসাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী স্টাইলে পৈত্রিক সম্পত্তির প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগদেবহাটায় মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযানে পুশকৃত বাগদা জব্দ

সাতক্ষীরায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-০৬। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মোঃ আব্দুল মান্নান গাজী (৫৫)।

সে দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ কুলিয়া গ্রামের মোঃ জামাল গাজীর ছেলে। রবিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা সিপিসি-১ এর এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসামী মোঃ আব্দুল মান্নান গাজী সাতক্ষীরা সদর ও খুলনা মহানগর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মাদকের ব্যবসা করে আসছিল।

২০২২ সালে খুলনা মহানগর এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনাকালে হনিণটানা থানায় মাদকসহ আটক হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু হয়। বর্নিত আসামি মামলা রুজুর পর থেকে পলাতক থাকে।

মামলার বিচারকার্য় শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি মোঃ আব্দুল মান্নান গাজীকে ৫বছর সাজা প্রদান করেন। আসামি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে র্দীঘ ৪ বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়।

পরবর্তীতে র‌্যাব-৬ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে আসমিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে সরকারি কর্মকর্তা জন প্রতিনিধিদের নিয়ে ডায়ালগ

বিএম আলাউদ্দিন আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনিতে সরকারি কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে ডায়লগ ও দাবী আদায়ে ডিসি বরাবর স্মারক লিপি হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এনজিও উত্তরণ ও আশাশুনি উপজেলা পানি কমিটির আয়োজনে ডায়লগে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অকিথি ছিলেন, প্রজেক্ট অফিসার দিলীপ কুমার সানা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল, সহ সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান ও আমীর হোসেন বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক কামরুন নাহার রিনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে টিআরএম বাস্তবায়ন, নদী খনন, আন্তঃ নদী সংযোগ, উপকূলীয় বাঁধ উচু ও টেকসই করা এবং পানি ব্যবস্থাপনা সংগঠন গড়ে তোলার দাবী সম্বলিত জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিশেষজ্ঞদের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চিত্র তুলে ধরে বক্তাগণ এলাকার জলাবদ্ধতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও খাওয়ার পানির সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়ে আলোচনা রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলায় ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়। বাড়তি চাহিদা থাকায় পাড়া-মহল্লার দর্জি দোকানের পাশপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঈদের পোশাক তৈরীতে দর্জিরা ব্যস্ত সময় পার করছে।

দেবহাটা উপজেলা টেইলার্স কারিগররা ঈদ-উল-ফিতরের আগে পোশাক ডেলিভারি দিতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। মেশিনের ঘটর ঘটর শব্দ চলেছে বিরমহীন। একটানা কাজ করে চলেছে দর্জিরা। এতটুকু যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। ঈদ বলে কথা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। তাইতো মেশিনের সঙ্গে সমান তালে চলেছে হাত-পা। মেশিনের ঘটর ঘটর শব্দের তালে তৈরী হচ্ছে নানা ডিজাইনের পোশাক পাঞ্জাবী, জামা, শার্ট, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া, প্যাণ্ট, সুট্যসহ নানা ধরণের পোশাক।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পারুলিয়া বাজার, কুলিয়া বাজার, ঈদগাহ বাজার, দেবহাটা বাজার, গাজিরহাট, শ্রীপুর সহ বিভিন্ন বাজার ও পাড়ায় টেইলাসের দোকান রয়েছে। ঈদগাহ বাজারে ১০/১২টি টেইলার্সের দোকান আছে। এরমধ্যে হাজী মার্কেট ছাহাবিয়া টেইলার্স৷ স্বত্তাধিকারী আবুল বাশার, চেয়ারম্যান মার্কেটে সৌদিয়া টেইলার্স, মুক্তার মার্কেটে লাবিয়া টেইলার্স। আবুল বাশার দর্জি কারিগরা জানান, তারা সকান ৭টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছে। সৌদিয়া টেইলর্সের স্বত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেন জানান, ঈদ বলে কাজের চাপ অনেক বেশি।

প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাকের অর্ডার নিতে হচ্ছে। জানা গেছে, দর্জির দোকানে ডিজাইন অনুযায়ী প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই হচ্ছে ৩শত থেকে ৪শত টাকা, শার্ট ২শত থেকে ২৫০ টাকা, মেয়েদের থ্রি পিস প্রকারভেদ অনুযায়ী ২০০টাকা থেকে ৩শত টাকা, ব্লাউজ পেটিকোট ২শত থেকে ৩শত টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে মজুরি নেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য কারিগররা দিন-রাত কাজ করছে। আবুল বাশার জানান, প্যান্ট ও শার্টের নতুন অর্ডার নিচ্ছে না তারা, আগের অর্ডার নেওয়া পোশাক সময়মত ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করছে। আনোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অর্ডার ভালো। প্রতিদিন অনেক কাপড়ের অর্ডার পাচ্ছি। কাজের চাপে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করেছি। আবুল বাশার জানান মহিলা ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরীর চাপ বেড়ে গেছে। নিখুতভাবে পোশাক তৈরী করার জন্য সময় একটু বেশী লাগে। এজন্য কারিগররা র্নিঘুম কাজ করে চলেছে। ঈদের আগেই পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দর্জিপাড়ার কারিগররা পোশাক তৈরীতে দিন-রাত কাজ করে চলেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা ট্রিবিউন ও দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার উদ্যোগে ইফতার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা ট্রিবিউন ও দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) পলাশপোলস্থ সাতক্ষীরা সাংবাদিক ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা সাংবাদিক ক্লাব এর সভাপতি ও সাপ্তাহিক চাকরির পয়গাম পত্রিকার সম্পাদক এস এম মহিদার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ট্রিবিউন পোর্টালের সম্পাদক ও দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ ফিরোজ হোসেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমিশনার ও পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ শাহিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি এড. মোঃ আলমগীর আশরাফ, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ, সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও ডিবিসি টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এম. বেলাল হোসাইন, পৌর ৮নং ওয়ার্ড জামায়াত ইসলামীর সভাপতি মোঃ আবদুল গফুর, দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার প্রতিনিধি প্রভাষক মোঃ আমিনুর রহমান, দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু বকর, সম্মিলিত সাংবাদিক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মীর মোস্তফা আলী, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান আলী মিটন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করাই সাংবাদিকদের কাজ।কাল্পনিক তথ্য দিয়ে কোন সংবাদ উপস্থাপন করা ঠিক নয়। বিগত দিনে সাংবাদিকদের নানা ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল।তারপরেও সাংবাদিকরা গণতন্ত্রও দেশের স্বার্থে অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক নির্ভীক সংবাদ পত্রিকার সহ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান, দৈনিক দেশ সংযোগ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ আমিরুল ইসলাম, দৈনিক চিত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ কামরুল ইসলাম, দৈনিক অগ্রসর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ মোরশেদুল হক, দৈনিক সংবাদ সংযোগ পত্রিকার মোঃ হাফিজুর রহমান, দৈনিক খুলনাঞ্চলের জেলা প্রতিনিধি মোঃ আতিকুজ্জামান, দৈনিক আজকালের কন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ আতিয়ার রহমান, সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাপ্তাহিক চাকরির পয়গাম পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওঃ মোঃ আবুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা: ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ লুট

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনির কাকড়াবুনিয়ায় মৎস্য ঘের দখলের চেষ্টা, ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী ও নগদ ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক চাঁদা আদায়সহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মাছ ও মালামাল লুটের অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার জমা দেয়া হয়েছে। গত ২২ মার্চ (শনিবার) আশাশুনি থানায় এজাহারটি জমা দেন জেলা মহিলা দলের সদস্য ও সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকার ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের নির্দেশে এজাহারটি আমলে নিয়ে আশাশুনি থানার ওসি এটি তদন্তের জন্য এসআই নাহিদের উপর দায়ীত্ব দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ ইতিমধ্যে বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এ মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোস্তাক (৩০), মৃত গফুর সানার পুত্র দ্বীন মোহাম্মদ সানা দ্বীনু (৩৫), মোস্তফা আকুঞ্জির পুত্র জহুরুল আকুঞ্জি (২৮), গোলাম বারীর পুত্র মোঃ সাগর (৩০), গফুর সানার পুত্র রফিকুল ইসলাম সানা হাসেম (৪০), জব্বার সার পুত্র জমাত সানা (৩৮) ও গফুর সানার পুত্র জাহাঙ্গীর ওরফে নাটা (৩৮)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া এলাকায় আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আলমামুনের ৩০ বিঘা জমির উপর একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। উক্ত ঘেরে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগদা ও গলদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। গত (২০২৪) বছরের ৭ আগস্ট আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপরোক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে হাতে ধারালো দা ও চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আম্বিয়া বেগমের জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঘেরে প্রবেশ করে।

এসময় সেখানে পাহারারত জামাতার ভাই হাবিবুর রহমান বাধা দিলে তারা তাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং এখানে ঘের করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। একপর্যায়ে তারা তাকে ঘের থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দিয়ে ঘেরের বাসায় থাকায় মাছ বিক্রির নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর তারা একাধিকবার উক্ত মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে আরো প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ ধরে তা লুট করে নিয়ে যায়। এমাতাবস্থায় চলতি (২০২৫) বছরের ২৩ ফেব্রæয়ারী উক্ত আসামীরা আবারো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৎস্য ঘেরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকলে আম্বিয়ার বোন জেলা মহিলা দলের নেত্রী সালেহা হক কেয়া ও জামাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন এতে বাধা দিলে তারা বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তারা এখুনি চলে যাবে। এসময় টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ৫ নং আসামী রফিকুল সানার হুকুমে ১ নং আসামী মোস্তাক আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ৩ নং আসামী জহুরুল আকুঞ্জি জোরপূর্বক আব্দুল্লাহর পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এসময় আম্বিয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে ৬নং আসামী জমাত সানা তাকে কিল ঘুষি মারিয়া অসৎ উদ্ধেশ্যে পরনের কাপড় চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। ৭ নং আসামী নাটা এসময় আম্বিয়ার গলা থেকে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যে ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিড়ে নেয়। আম্বিয়ার বোন সালেহা হক কেয়া তার বোনকে ঠেকাতে গেলে ৪ নং আসামী সাগর অসৎ উদ্ধেশ্যে তার তাকেও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং কিল ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। এসময় ২ নং আসামী দ্বীন মোহাম্মদ সানা ওরফে দ্বীনু ও ৬ নং আসামী জমাত সানা আম্বিয়ার জামাতা আব্দুল্লাহকে গলা চেপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।

এরপর উক্ত সকল আসামীরা তাদেরকে মৎস্য ঘেরের ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে বাহিরের থেকে তালা লাগাইয়া দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আবারো ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে যা ১৫ দিনের মধ্যে তাদেরকে পরিশোধ করতে হবে বলে জানায়। অন্যথায় তারা মৎস্য ঘের দখলে নেওয়াসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন এজাহারে বর্ণিত স্বাক্ষী অলিউল্লাহ অলু, তুহিন, সোহেলসহ অন্যরা।

এমামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশাশুনি থানার এসআই নাহিদ জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেন জানান, তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদ বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার পর এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালার শিশু মেহজামিনকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন

তালা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা তালার মেহজামিন ২২ মাসের এক শিশু কন্যা থ্যালাসেমিয়া ও রক্ত শূন্যতায় ভুগছে। অসুস্থ্য ও দরিদ্র পিতা মাতার শিশুটির চিকিৎসার জন্য সমাজে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। সে তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের অভয়তলা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও মাতা হাফিজা বেগমের কন্যা।

মেহজামিনের মা হাফিজা বেগম জানান, তার স্বামী পরের জমিতে কৃষি কাজ করে সংসার চালাতো। কিন্তু বর্তমানে তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়িতে আছেন। তার দুইটি মেয়ে বড় মেয়ে মনিয়ারা (১০) একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে।

ছোট মেয়ে মেহজামিন জন্মের ১০ মাস পর থ্যালাসেমিয়া ও রক্ত শূন্যতা ধরা পড়ে। বর্তমানে হেমাটোলজি ও বোনম্যারো ট্রন্সপ্লান্ট বিভাগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাঃ মোঃ আশিকুজ্জামানের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন আছে। প্রথমে রোগটি ধরা পড়লে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে প্রায় ৭/৮ লক্ষ টাকা পরিবার খরচ করেছে। কন্যার চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল সবকিছু বিক্রয় করে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।

এখন প্রতি মাসে চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় ২০ হাজার খরচ হচ্ছে। শিশুটির চিকিৎসা খচর বহন করতে অসহায় পিতা মাতার মানুষের দাড়ে দাড়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। অসহায় পরিবার শিশুটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। যোগাযোগ: বিকাশ- ০১৯৪৩-৪৪৫৮৫৪।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাজারে আসছে নারী ন্যাপকিন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার প্রান্তিক নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাজারে আসছে নারী ন্যাপকিন। যেটি স্বল্প মূল্যে হাতের কাছেই পাবেন প্রান্তিক নারীরা। বর্তমান সময়ে এসেও নারীরা তাদের স্বাস্থ্যে বিষয়ে উদাসীন। অনেক সময় চাইলেও হাতের কাছে না পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। নারী যাতে হাতের কাছেই ন্যাপকিনের সুরক্ষা পেতে পারে সে লক্ষ্যেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত উপক‚লীয় সাতক্ষীরায় জননিয়ন্ত্রিত জলবায়ু অভিযোজন এবং টেকসই জীবিকায়ন কর্মসূচি প্রকল্পের অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

প্রেরণার নারী উন্নয়ন সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ফরহাদ জামিল।

বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার নাজমুল হুদা এবং প্রশিক্ষন ও ডকুমেন্টেশন অফিসার মৃত্যুঞ্জয় সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা বিসিকের উপ-পরিচালক গৌরব দাশ, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা: মফিজুল ইসলাম, সূর্যের হাসি’র ম্যানেজার মিকাইল হোসেন, আনন্দ’র প্রোজেক্ট ম্যানেজার আমিরুল ইসলামসহ অন্যরা। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে যে সব নারী রোগে আসে। তাদের অধিকাশংই জরায়ুতে সমস্যা নিয়েই আসে। একটু সচেতন হলেই কিন্তু এসব রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সকলকে ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে পুকুরে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ###

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জামায়াতের ইফতার মাহফিলে দেশের স্বার্থে ঐক্য অটুট রাখার প্রত্যয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
দেশের স্বার্থে ঐক্য অটুট রাখার প্রত্যয়ব্যক্ত করে সাতক্ষীরায় জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতারা বলেছেন, আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ন হবো না। আমরা হবো সহনশীল এবং পরমত সহিষ্ণু। জুলাই বিপ্লবের শহিদদের রক্তের দাগ শুকায়নি। বাংলাদেশের আকাশে আবারো সেই কালো শকুনের ছায়া। এই কালো শকুন যেন আমাদের ছাত্র—জনতার আন্দোলনের স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করতে না পারে। সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এদেশকে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে চাই।

সাতক্ষীরাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা সবাই এক। আমাদের এই একতা যেন অটুট থাকে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে সাম্প্রতিক সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক সহমর্মিতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। এজন্য আমাদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ১৯৯১ সাল সাল থেকে বিএনপি—জামায়াত জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপি—জামায়াত জোট অতীতে ঐক্যবদ্ধ ছিল এখনো আছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন আছি এবং ভবিষ্যতে থাকবো।

সাতক্ষীরায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখার ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপি—জামায়াতের শীর্ষ নেতারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ।
রবিবার (২৩ মার্চ) বিকালে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সংলগ্ন পৌর অডিটরিয়ামে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যুগ্ম—আহ্বায়ক তাসকিন আহমেদ চিশতি, আবুল হাসান হাদী, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, ইসলামি আন্দোলন জেলা শাখার সহ—সভাপতি প্রভাশক ওয়েজ কুরুণী প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, ডাক্তার মাহমুদুর রহমান, গাজী সুজায়েত আলী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, প্রভাষক ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গণি, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন, শহর শাখার আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতার মাহফিলে জাতীয় নেতা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি—সাহিত্যিক, ডাক্তার, সাংবাদিক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতা—কর্মীদের মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিময় মিলনমেলায় পরিণত হয়। পারস্পারিক আলাপ—আলোচনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পৌর অডিটরিয়াম।
ইজ্জত উল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা প্রাণ দিয়েছেন, আজকের এই দিনে তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই আজ আমরা উন্মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সাথে বসে ইফতার করতে পারছি। যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর শত শহীদের বিনিময়ে আমরা আবার এক হতে পেরেছি। আমরা কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছি। পেয়েছি স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার। বাংলাদেশের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা। বাংলাদেশের আকাশে আবারো কালো শকুনের ছায়া। এছায়া যেন আমাদের শান্তি বিনাশের কারণ না হয়। সুযোগ এসেছে স্বাধীনতার সেই সোনার ফসল ঘরে তোলার। আমারা সুখী, সমৃদ্ধশালী, উন্নত এক শান্তিময় বাংলাদেশ কায়েম করতে চাই। যেখানে থাকবে না হিংসা, হানাহানি। থাকবে না কোন বৈষম্য। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ বলেন, আমরা ১৯৯১ সাল থেকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন ও আন্দোলন করে আসছি। এদেশের গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের এ ঐক্য অটুট থাকবে

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest