সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া : ৩ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে আহত ১৩ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না– সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারশ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির ট্যাংক বিতরণ করলেন এমপি দোলনদেবহাটায় প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার বিতরণজাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদনসাতক্ষীরায় আগুনে পুড়ে ছাই দলিল লেখকের ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামালপুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহতআশাশুনির কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কের বেহাল দশাআশাশুনিতে শালিসেও জমি নিয়ে বিরোধ মিমাংসা না হওয়ায় আত্মহত্যা!সরকারি কেবিএ কলেজ’র সাথে সোনালী ব্যাংক পিএলসি পারুলিয়া শাখার চুক্তি স্বাক্ষর

সাতক্ষীরায় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া : ৩ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে আহত ১৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আন্দোলনকারীরাও এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে ৩ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করতে গেলে এঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন,সদর থানা পুলিশের এএসআই জিল্লুর রহমান,ডিবি পুলিশের এএসআই শাহানুর হোসন ও কনস্টেবল নাদিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ দিকে সাতক্ষীরা চৌরঙ্গী মোড়ে একত্রিত হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে হাসপাতাল মোড় হয়ে সঙ্গীতা সিনেমা হলের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা নিউমার্কেট মোড় অতিক্রম করে আটককৃত আন্দোলনকারীদের ছাড়িয়ে নিতে সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ তাদের ওপর লাঠি চার্জ ও ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে কমপক্ষে ১৫ জন আন্দোলনকারীকে আটক করে পুলিশ।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমম্বয়কারী ইমরান হোসেন জানান,গতকাল রাত থেকে এপর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ জন আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য থানায় যাওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না– সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেছেন, গণতান্ত্রিক দেশে সকলেই মত প্রকাশ করতে পারবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সকলের রয়েছে। তবে এ বিষয়টিকে ইস্যু করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। আইনের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করতে চাই। কেউ যদি এমনটি করতে চাই তাহলে পুলিশ আইনের প্রয়োগ করবে।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মিডিয়ায় গুজব প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রকৃত ঘটনাটি প্রচার করুন। কারো পক্ষ গ্রহণ করবেন না। এই ইস্যুতে যাতে সাতক্ষীরায় কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি। আমাদের সহযোগিতা পেলে সেটি সহজ হবে।

এসময়, দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক আবু আহমেদ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জি, সময় টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপি, ইন্ডিপেনডেন্টস টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেম, দীপ্ত টিভির রঘুনাথ খাঁ, মোহনা টিভি’র আব্দুল জলিল, বাংলা ভিশনের আসাদুজ্জামান, ডিবিসি’র এম. বেলাল হোসাইন, একাত্তর টিভির বরুন ব্যনাজি, যমুনা টিভি’র আকরামুল ইসলাম,খন্দকার আনিসুর রহমানসহ অন্যরা।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির ট্যাংক বিতরণ করলেন এমপি দোলন

শ্যামনগর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগরে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদের বিশেষ তহবিলের আওতায় ২নং কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সাধারণ পরিবারের মাঝে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়েছে। ১৬ই জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১০ টায় গোবিন্দপুর আবু হানিফ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এলজিইডির বাস্তবায়নে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়।

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল আল রিফাত এর সভাপতিত্বে পানির ট্যাংক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম আতাউল হক দোলন এমপি।

বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি উপস্থিত ছিলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে গোবিন্দপুর আবু হানিফ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশল জাকির হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি এস এম জিয়াউর হক পলাশ, ২নং কাশিমাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আনিছুজ্জামান আনিচ সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত বিশ্বাস বাবুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুস সবুর মোল্লা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন গায়েন, মৎসজীবী লীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

২৫ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে নদী বেষ্টিত উপকূলীয় অঞ্চলের লবণ পানির সংকট কাটাতে, মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে জীবন ধারনের জন্য ৮০টি পরিবারের মাঝে সুপেয় পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়।

ট্যাংকি পাওয়া এক পরিবারের সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, আমার বাড়ির চারিপাশেই লবণ পানি একপাশে নদী আরেক পাশে ঘের পানি এনে খেতে হয় পাশের ইউনিয়ন শ্যামনগর সদর থেকে আমাদের যে কি উপকার হচ্ছে সেটা আমার ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ও এমপি দোলন সাহেবের জন্য দোয়া করি আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করুক।

বাবু গাজী নামে এক জন ব্যক্তি বলেন আমরা সব সময় শুনি কাশিমাড়ী ইউনিয়নের মানুষ ট্যাংকি পাবেনা, এমপি দোলন সাহেব যে কি উপকার করলেন তা কিভাবে বলবো আমরা নামাজের পার্টিতে বসে তার জন্য দোয়া করব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার বিতরণ

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব ব্যবস্থাপনায়, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই ) উপজেলা সম্মেলন কক্ষে, দুপুর ১২টার সময় সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ৪ জন অসহায় প্রতিবন্ধীকে একটি হুইল চেয়ার ও ৫০ জন মেধাবী ও অসহায় ছেলে মেয়েকে কাগজ কলম, প্রতিবন্ধীদের বিনা সুদে ঋণ বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আল ফেরদাউস আলফা সম্মানিত অতিথি সাতক্ষীরা উ পরিচালক জেলা সমাজসেবা বার্মালা সন্তোষ কুমার নাথ,দেবহাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বার বার নিবাচিত হাবিবুর রহমান সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মহিলা ভাইস জি এম স্পর্শ,

উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অধীর কুমার গাইনের সঞ্চালনায়, আরো উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ৩নং সখিপুর ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের জি,এম জহিরুল ইসলাম, উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রতিবন্ধী ও ছোট ছো’ট সোনামণিদের স্বজনরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার অধিনস্থ ১নং বাঁশদহা ইউনিয়নের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় ছাত্র সমাজ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফুজ্জামান রকি ও সাধারণ সম্পাদক কায়মুজ্জামান পাভেল স্বাক্ষরিত একপত্রে তারিকুজ্জামান সিজানকে সভাপতি এবং শরিফুজ্জামান শরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যরা হলেন, সদস্য মহিবুল্লাহ হোসেন, ইমন হোসেন, ওবায়দুল্লাহ হোসেন, আকিব হোসেন, লিপটন হোসেন, শাওন হোসেন জয় ও রাকিব হোসেন।

এসময় পূর্বের কমিটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় আগুনে পুড়ে ছাই দলিল লেখকের ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় আকস্মিক আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এক দলিল লেখকের ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। মঙ্গলবার ভোর রাতের কোন এক সময় শহরের কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তার নতুন ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার, প্রচুর মুল দলিল, সোনালী ব্যাংকের কয়েকটি চালান ও চেকসহ মূল্যবান জিনিস পত্র। পারিবারিক শত্রতার জেরে তার প্রতিপক্ষরা এঘটনাটি ঘটাতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবু হাসান সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত রহিল উদ্দীনের পুত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত আবু হাসান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি ও তার লোকজন কাজ শেষে দলিল লেখার সেরেস্তাটি বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে থাকার একপর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর রাত তিনটার দিকে তার কাছে একটি ফোন আসে যে তার দলিল লেখক সেরেস্তায় দাউ দাউ করে আগুন জ¦লছে। এ খবর পাওয়ার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করছেন। সেখানে সদর থানার রাতের ডিউটিরত পুলিশের একটি টিমও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগেই তার সেরেস্তায় থাকা নতুন ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার,

প্রচুর মুল দলিল, সোনালী ব্যাংকের চেক ও ট্রেজারী চালানসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে তার প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরো জানান, রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ায় তার কোন শত্রুতা না থাকলেও পারিবারিক শত্রুতার জেরে তার প্রতিপক্ষরা ভোর রাতের কোন এক সময় তার প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগাতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন। তবে, এ ব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। তিনি এসময় বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃতঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহত

নিজস্ব প্রতিনিধি: জমিজমা বিরোধে একই পরিবারের ৪জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় ২জনের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোর ৬টার দিকে শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা মাদ্রাসাপাড়া এলাকায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা মাদ্রাসাপাড়া এলাকার মৃত. রইচ উদ্দিনের ছেলে মনজুর আলম রিপনের (৪৩) সাথে একই এলাকার নাছির উদ্দিনের জমিজমার বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার ভোর ৬টার দিকে নাছির উদ্দিনের স্ত্রী ইয়সমিন সুলতানা (৩০) পাটকেলঘাটা থানা এলাকার টুটুল (৩৫) ও মোশারফ হোসেন (৫৫) মনজুর আলম রিপনের বাড়িতে এসে গালিগালাজ করতে থাকে। পরিবারের সদস্যরা গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট ও ইট দিয়ে থেতলে আহত করে। এ সময় রিপনের বোন নাসরিন আক্তারের গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের ও তার মায়ের গলায় থাকা একটি ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

মারপিটে রিপনের মা হাফিজা খাতুন মারাত্বক আহত হয়ে পড়ে থাকলে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় মনজুর আলম রিপন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছে। এদিকে বাদিকে ফাঁসাতে বিবাদীরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির কুল্যা টু দরগাহপুর  সড়কের বেহাল দশা

বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি ব‍্যুরো:

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু বাঁকা (দরগাহপুর) সড়কের কাদাকাটি বাজার থেকে কাদাকাটি পুরাতন বাজার পর্যন্ত এক কিলো মিটার রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে যাতয়াতকারী যাত্রী সাধারণের।

অভিযোগ রয়েছে, সড়কটির নির্মাণ কাজে ধীর গতির কারনে সড়কের অনেকস্থানে নতুন করে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতেকরে প্রায়ই সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্তগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে সাতক্ষীরা জেলা সদরের যোগাযোগের একমাত্র বাইপাস সড়ক হিসেবে ওই সড়কই এক সময় বেশি ব্যবহৃত হত। আশাশুনি উপজেলার মানুষসহ আশাশুনির সীমান্ত এলাকা তালা, পাইকগাছা, কয়রা ও আশাশুনির দক্ষিণ অঞ্চলের ইউনিয়ন গুলোর হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন দর্গাপুর কলেজে যাওয়া আসা করে। কিন্তু বছর খানেক ধরে সড়কের বেশীর ভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়ূয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিনত হয়ে থাকে। সড়কটির খানা খন্দকের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অনেক প্রাণহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। এ ছাড়া সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো একটি অপরের ওভারট্যাকিং করতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এজন্য সড়কে যানচলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে।

দরগাহপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আসমা জান্নাত মনি এ প্রতিবেদককে জানায়, “আমরা প্রায় ২/৩কিঃমিঃ পথ পায়ে হেঠে কলেজে যাই। কারণ আমারে চলাচলের প্রধান এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যে যেখানে ২০/৩০ মিনিটে কলেজে পৌছার কথা সেখানে লেগে যায় ১ ঘন্টারও বেশি সময়। সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো দ্রুত গাড়ী পাওয়া যায়না। অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেটেই কলেজে যাচ্ছি। হেটে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে যাই। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষার সময়। কারণ নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য। তাই যতাযত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।”

স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদাকাটি আর আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মুক্তা জানায়, “ভাই কি আর বলবো স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্যা এই সড়কটি। সড়কের অবস্থা এত খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়না। এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টির কারনে গর্তে ময়লা জমে থাকে। ফলে ভাল জামা পড়ে গেলেও রাস্তার কাদায় নোংরা হয়ে যায়। সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest