সর্বশেষ সংবাদ-
ভোমরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের কর্মীসভাসাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামানপরিবেশ সংরক্ষণে সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির পাঠচক্রদেবহাটার বাজারে উঠতে শুরু করেছে পানিফল: লাভের আশায় কৃষকসাতক্ষীরায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে অস্ত্রসহ তিন ব্যক্তি আটকদেবহাটার বিভিন্ন পূজা মন্ডল পরিদর্শনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসাতক্ষীরা জেলা বিএনপি নেতা হাবিবের নেতৃত্বে সিএন্ডএফ এজেন্ট দখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনকাদাকাটিতে পানিবন্ধি মানুষের মাঝে আরিজ ফাউন্ডেশনের খাদ্য সামগ্রি বিতরণশহর জামাতের আন্তঃ ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট: চ্যাম্পিয়ন কুখরালী একাদশআশাশুনিতে শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ

ভোমরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের  কর্মীসভা

সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের কর্মীসভা ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার বিকালে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম রবি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মোঃ আনারুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ শাহানুর রহমান শাহিন, ভোমরা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব সাবেক মেম্বার বজলুর রহমান, সাতক্ষীর সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব সাইলু রহমান বিশ্বাস, সদর উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক লিয়াকাত আলী, যুগ্ম-আহবায়ক মফিজুল ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ন আহবক গোলাম মোস্তফা সোনা,
ভোমরা ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সদস্য সচিব মাহমুদুল হক মামুন, ঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির, ভোমরা সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আবায়ক নুর ইসলাম, ভোমরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাত নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সুন্নত আলী সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ আব্দুল আলিম, খায়রুল ইসলাম, হাজী ফরহাদ হোসেন, নাহিদ হাসান, আব্দুল কাদের, ফিরোজ হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ হলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কলেজটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মনিরুজ্জামান। রবিবার (০৬ অক্টোবর) কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ছাত্রজীবনে খুবই মেধাবী ছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি যশোর বোর্ডে মেধাতালিকায় স্থান পান এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

এর আগে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকেই কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন আওয়ামী সরকারের অনুগত ও আশির্বাদপুষ্ট আগের অধ্যক্ষ ড. মোঃ শিহাবউদ্দিন।

এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত কলেজ পরিচালনা কমিটির কাছে ড. শিহাবুদ্দিনের নামে একাধিক অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা। তাদের সেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য এ্যাড. আরিফুর রহমান আলোর নেতৃত্বে গঠন করা হয় অডিট কমিটি। সেই কমিটি তদন্ত শেষে ড. শিহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিগত ১ বছরে ৮৫ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক অনিয়ম এবং নানান দুর্নীতির প্রমাণ পায়।

পরে কলেজ পরিচালনা কমিটি ড. শিহাবুদ্দিনকে কলেজে এসে তার স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন এবং কারণ দর্শানোর জন্য একাধিকবার চিঠি পাঠালোও তিনি কলেজে না এসে বরং অসহযোগীতা করেন। যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ায় ড. শিহাবুদ্দিনের অনিয়ম-দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে এবং কলেজের সার্বিক কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর অধ্যাপক মনিরুজ্জামান সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষাঙ্গন ও প্রশাসনিক দপ্তরের যে ভঙ্গুর অবস্থা ছিলো তা থেকে ফিরিয়ে এনে কলেজকে শিক্ষা ও সাংস্কৃতি চর্চার জন্য আদর্শ করে গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এসময় সাতক্ষীরা সিটি কলেজ গভর্নিং বর্ডির সদস্য এ্যাড. আরিফুর রহমান আলো, উপাধ্যক্ষ আলতাফ হোসেনসহ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পরিবেশ সংরক্ষণে সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির পাঠচক্র

‘‌সুস্থ পরিবেশ, শান্তিময় পৃথিবী’ স্লোগানক সামনে রেখে পরিবেশ সংরক্ষণে তারুণ্যের করণীয় শীর্ষক পাঠচক্র‍ের আয়োজন করে সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটি।
 
৬ অক্টোবর , রবিবার সকাল ১১ টায় টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শহীদমিনার চত্বরে প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর লেখা ‘বাংলাদেশের পানি পরিবেশ ও বর্জ্য’বইটি নিয়ে এ পাঠচক্র‍ অনুষ্ঠিত হয়। 

সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি তারিক ইসলামের সভাপতিত্বে  ও সহ সভাপতি ফয়জুর রহমান মিশুক এর সঞ্চলনায় ‘বাংলাদেশের পানি পরিবেশ ও বর্জ্য’ গ্র‍ন্থথেকে পাঠকরেন, মাহবুবুর রহমান খান।

পাঠচক্রে  উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির কার্যনির্বাহী সদস্য
মোঃ হাফিজ ,আবুহুরায়রা, মো: আল – আমিন,মুশফিকুর রহমান, মো: আল রাফিয়াদ রুহান, সাগর আহমেদ, ইমরান নাজির শুভ, রিয়াজ রহমান, হসিবুল আলম, সাদিক ইবনে মুজিব প্র‍মুখ।

পাঠচক্র‍ শেষে আলোচনা পর্বে বর্জ্য পদার্থের আধুনিক ও নিরাপদ অপসারণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা বাংলাদেশের অন্যতম পরিবেশগত সমস্যা উল্লেখ করে বক্তরা পরিবেশ সংরক্ষণে তারুণ্যের ভুমিকা ও করণীয় সমূহ তুলে ধরেন। বক্তাদের আলোচনায় অতি বৃষ্টির কারণে সাতক্ষীরায় বন্যা , জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে বিশেষ গুরুত্বপায়।

সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি তারিক ইসলাম বলেন,শিক্ষা, উদ্ভাবন, সেবা, সৃজনশীলতা ও পরিবেশ সংরক্ষণে যুবরা কাজ করে যাচ্ছে, যা গোটা বিশ্বের সমাজকাঠামোর অগ্রগতিতে বিশেষ ইতিবাচকতা এনে দেয়। আজকের এই সৃষ্টিশীল যুবসমাজের হাত ধরেই বিশ্বের অদেখা সব স্বপ্নরা বাস্তবরূপে আবির্ভূত হবে একদিন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার বাজারে উঠতে শুরু করেছে পানিফল: লাভের আশায় কৃষক

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : সাতক্ষীরা জেলার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে পানি ফল। আগাম চাষ করা ফল বিক্রি করে লাভের আশা করছেন চাষীরা। অন্য ফলের পাশাপাশি পানি ফল বাজার দখল করতে শুরু করায় দিনে দিনে চাহিদা বাড়ছে। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলটি ছোট বড় সকলের কাছে পছন্দের।

কৃষি অফিসের তথ্য সুত্রে জানা গেছে, এ ফলের ইংরেজি নাম Water chestnut এবং উদ্ভিদতাত্বিক নাম Trapa bispinosa। পানি ফলের আদিনিবাস ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা হলেও এর প্রথম দেখা পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় পানি ফলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পানিফল একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। জলাশয় ও বিল-ঝিলে এ ফলটি জন্মে। পানি ফলের এক একটি গাছ প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানি ফলের আরেক নাম ‘ পানি সিংড়া’।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, ফল চাষ শুরু হয় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে এবং ফল সংগ্রহ করা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে। পানিফল কচি অবস্থায় লাল, পরে সবুজ এবং পরিপক্ক হলে কালো রং ধারণ করে। ফলটির পুরু নরম খোসা ছাড়ালেই পাওয়া যায় হৃৎপিন্ডাকার বা ত্রিভুজাকৃতির নরম সাদা শাসঁ। কাঁচা ফলের নরম শাসঁ খেতে বেশ সুস্বাদু। পানি ফল কাঁচা খাওয়া হয়, তবে সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়। কাঁচা পানিফল বলকারক দুর্বল ও অসুস্থ মানুষের জন্য সহজপাচ্য খাবার। ফলের শুকনো শাঁস রুটি করে খেলে এলার্জি ও হাত-পা ফোলা রোগ উপশম হয়। পিওপ্রদাহ, উদরাময় ও তলপেটের ব্যথ্যা উপশমে পানিফল খাওয়ায় প্রচলন রয়েছে। বিছাপোকা কামড়ের যন্ত্রণায় থেঁতলানো কাঁচা ফলের প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়।

দেবহাটার সখিপুর গ্রামের পানিফল চাষি আব্দুল গফ্ফার জানান, গত কয়েক বছর ধরে আমি পানি ফল চাষ করছি। প্রথমে মানুষের মাঝে তেমন সাড়া পাওনা না গেলেও দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পানিফল চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর তিনি একটি ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পানি ফলের চাষ শুরু করেছেন। শুরুতেই এই চাষ লাভের আশা দেখিয়েছেন তাকে। তিনি আগামী বছর আরও বেশি জমি নিয়ে চাষ করবেন বলেও জানান।

আরেক পানিফল চাষি শামছুর রহমান বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পানিফল চাষ করে আসছেন। এবছর তিনি ১০ বিঘা জমিতে এ চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি ১৫/২০ মন ফলন পাচ্ছেন। শুরুতেই যার প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন।

সখিপুর মোড় এলাকার খুচরা পানিফল বিক্রেতা আব্দুল গফুর জানান, বর্তমানে তিনি ৪০টাকা কেজিতে ক্রয় করে ৫০টাকা কেজিতে বিক্রয় করছেন। এতে তিনি কেজিতে ১০টাকা হারে লাভ করে দিনে ৫০০/৭০০ টাকা উপার্জন করছেন।

সখিপুর মহিলা কলেজ এলাকার ইমরান হোসেন জানান, প্রতিদিন সকালে চাষিদের কাছ থেকে পানিফল ক্রয় করে সারাদিন ধরে তা বিক্রয় করেন। এ ব্যবসা করে তিনি সাংসারিক চাহিদা মেটাচ্ছেন।

পাইকারি পানিফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, চাষের মৌসুম আসার আগে তিনি অর্ধ শতাধিক চাষীর মাঝে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে ফলন আসার পরে বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদিত ফসল ক্রয় করেন। এভাবে ১০/১২ বছরের বেশি সময় তিনি পানিফল ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন তিনি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, চিটাগাং, সিলেট, রাজশাহী, বেনাপোল, যশোর, নাটোর, বগুড়া, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ ফল রপ্তানি করেন। বর্তমান জেলার বাইরের বাজার ভেদে পাইকারীভাবে বিক্রি করেন তিনি।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. ইউনুস আলী জানান, এবছর দেবহাটাতে আনুমানিক ৫০ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষাবাদ করা হচ্ছে। প্রতি বিঘায় ১৫/২০মন ফলন পেয়ে ২০/২৫ হাজার টাকা লাভবান হবেন কৃষক।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান জানান, পানিফল কৃৃষি খাতে চাষ হিসেবে ধরা না হলেও এটি অতিদ্রুত চাষের খাতে আনা হতে পারে। তাছাড়া অন্য বছরের তুলনায় এবছর আবাদ বেড়েছে। কৃষি অধিদপ্তর থেকে চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ অবাঞ্চিত ফলটি চাষাবাদে খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে বেশ লাভবান হওয়ায় প্রতিবছর আগ্রহ বেড়ে চলেছে পানি ফল চাষিদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে অস্ত্রসহ তিন ব্যক্তি আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া সরকারপাড়ায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে অস্ত্রসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ আটকের ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন,পৌরসভার রাজারবাগান উত্তরপাড়া এলাকার রেজাউল ইসলাম খোকন (৪৫),মোহাম্মদ আলী (৪০) ও সাইফুল ইসলাম (৪৬)।

কাটিয়া সরকারপাড়া এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা আব্দুল অহিদ সরদার জানান, ‘‘ আটক ব্যক্তিরা আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে ধরে সাইফুলের দোকানে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কাছে থাকা ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বাকী টাকা অনতিবিলম্বে না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না পেয়ে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করি।’’

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান,‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে মোহাম্মদ আলী, চাঁদার টাকাসহ রেজাউল ইসলাম খোকন ও একটি ওয়ান শ্যুটারগানসহ সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।এঘটনায় ভুক্তভোগী অহিদ সরদার বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।‘’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটার বিভিন্ন পূজা মন্ডল পরিদর্শনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক

কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডল পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

শনিবার ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার সময় উপজেলার গাজীরহাট দূর্গা মন্দির পরিদর্শন ও দূর্গাপূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে সার্বিক খোজ খবর নেন। এবছর উপজেলায় মোট ২১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজার প্রস্তুতিসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান, ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন, গাজীরহাট দূর্গা মন্দিরের সভাপতি শরৎ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ, ২ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য আজগর আলী, ৯ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য জনাব জাকির হোসেন, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্যা মোছাঃ খাদিজা পারভীন (কনা) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ শারদীয় দূর্গা পূজা শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন ও পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে দিকনির্দেশনা দেন। সাথে সাথে জেলা প্রশাসক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি নেতা হাবিবের নেতৃত্বে সিএন্ডএফ এজেন্ট দখল ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে সিএন্ডএফ এজেন্ট দখল, লুটপাট ও ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়াসহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের নিউমার্কেট মোড়স্থ আলবারাকা হোটেলের তৃতীয় তলায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের রাহাতুল্লাহ গাইনের পুত্র সাবেক যুবদল নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মোঃ আসাদুর রহমান।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ভোমরাস্থল বন্দরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরেই ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে ভোটও প্রদান করে আসছি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের দখলে রেখেছিল। কিন্তু আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারনে আমাকে কোন পদে আসতে না দিয়ে বঞ্চিত করেছে। তারা ইচ্ছামত ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন, লুৎফর রহমান মন্টুসহ কয়েকজন সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয় অবৈধভাবে দখল করে। পরবর্তীতে এসোসিয়েশনের অর্থ অবৈধভাবে আত্মসাতসহ লুটপাট চালাতে থাকে। ইচ্ছামত সাধারণ সভার তারিখ নির্ধারন, ভোটার তালিকা থেকে অবৈধভাবে অনেক ভোটারদের নাম বাতিলসহ অনিয়ম করতে থাকে। অথচ হাবিবুর রহমান হাবিব নিজেই দীর্ঘদিন সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন না। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন দখল করেই ইচ্ছামত তার নাম সংযুক্ত করেছে। দখলের পর আমাকে তাদের কমিটিতে রাখার জন্য ১ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং চিঠিও ইস্যু করে। ওই চিঠিতে আমার নাম ছিলো। কিন্তু দাবি মোতাবেক ১ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় পরবর্তী এক চিঠিতে আমার নামের পরিবর্তে পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খানের নাম সংযুক্ত করেন। অথচ এই মাকছুদ খান সিএন্ডএফ এর সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

তিনি বলেন, হাবিবের দাবি মোতাবেক টাকা দিতে না পারায় ওই কমিটির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়েই শুধু ক্ষ্যান্ত হননি। আমাকে ভোটার তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক। এছাড়া আমাকে হয়রানি করার জন্য হত্যা মামলার আসামীদের ভাড়া করে নাজমুল আলম মিলন ও লুৎফর রহমান মন্টুর নেতৃত্বে আমার বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধনের নাটকও সাজানো হয়েছে। এছাড়া হাবিবুর রহমান হাবিরের ইন্ধনে লুৎফর রহমান মন্টুর নেতৃত্বে ভোমরা ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন দখল করে লুটপাট চালানো হচ্ছে।
মিলন ও মন্টু মাদক এবং চোরাচালানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলাও রয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জমি দখলের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে। উক্ত মামলার প্রধান আসামী মিলন এবং তার বাহিনীর সদস্যরাও আসামী। সংবাদ সম্মেলন থেকে এসময় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে দখল ও লুটপাটের সাথে জড়িত হাবিবসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আমরা যা কিছু করেছি তা সব বৈধভাবেই করেছি। যে সব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সবই মিথ্যা। ##

০৫.১০.২৪

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাদাকাটিতে পানিবন্ধি মানুষের মাঝে আরিজ ফাউন্ডেশনের খাদ্য সামগ্রি বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে দীর্ঘ ২ মাস পানিবন্ধী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করেছে ঢাকার আরিজ ফাউন্ডেশন।

গতকাল পানিবন্দি এলাকার মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রি এবং পানি বাহিত রোগে আক্রান্তদের মধ্যে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করে সংগঠনটি।
এসময় ১০০ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু পেঁয়াজ, তেল ও ঔষধ সামগ্রি তুলে দেন সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকরা।

উল্লেখ্য: টানা বর্ষনে আশাশুনির কাদাকাটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও সেখানের পানি নিস্কাশনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। এছাড়া খাদ্য সংকটেও ভুগছে বহু মানুষ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest