কোহলি কী করতে চেয়েছিলেন তা বোঝা গেল না। আগের বলে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে পরামর্শ করছিলেন। বল যেভাবে এদিক-ওদিক করছিলো, তাতে তার ভ্যাবাচ্যাকা না হয়ে উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলেন। নিচু হয়ে আসা এক বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন। ব্যাঙ্গালুরু টেস্টের প্রথমদিন নাথান লায়ন এভাবে সবাইকেই ভুগিয়েছেন। একা আট উইকেট নিয়ে ভারতকে শেষ করে দিয়েছেন ১৮৯ রানে।
ভারতের মাটিতে সফরকারী কোনো বোলারের এটাই সেরা বোলিং। এর আগে ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ৮ উইকেট নিতে খরচ করেছিলেন ৬৪ রান। লায়ন দিয়েছেন ৫০ রান।
ভারত এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়া মুরালি বিজয়ের পরিবর্তে ওপেন করতে নামেন অভিনব মুকন্দ। মুকন্দ যখন দল থেকে বাদ পড়েন তারপর ভারত ৫৬টি টেস্ট খেলে ফেলেছে। এতদিন বাদে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাট হাতে নেমে বেশ নড়বড়ে ছিলেন। স্টার্কের হাত থেকে উড়ে আসা এক ফুলটসে এলবিডব্লিউ হন। ক্রিকেটের ভাষায় নামের পাশে তখন ‘ডাক’।
স্টার্ক এক উইকেট পেলেও গতিতে ধারাবাহিকভাবে বিভ্রান্ত করে গেছেন। কোহলির মতো ক্ল্যাসিক ব্যাটসম্যানও তাকে জবুথবু হয়ে ডিফেন্স করছিলেন। ১৫ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৩৯। মেডেন পাঁচটি।
প্রথম টেস্টের নায়ক স্টিভ ও’কিফও কম যান না। ২১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪০ রান খরচ করে একজনকে ফিরিয়েছেন।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লোকেশ রাহুল শুধুমাত্র ব্যতিক্রম। ২০৫ বল খেলে ৯০ রান করেন। অন্যদের মধ্যে করুন নায়ার সর্বোচ্চ ২৬ করেন। শেষ পাঁচজনের কেউ সাতের বেশি করতে পারেননি।
ভারত প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে এমনিতে চাপে। টস জিতে সেই চাপ কাটানোর হাসি ফুটেছিল কোহলির মুখে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা প্রথম ইনিংসে যেভাবে ধুঁকলেন, তাতে ওই হাসি উবে যাওয়ায় অবাক হওয়ার কিছু থাকছে না!