গোলাম সরোয়ার : অবশেষে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপে (পিপিপি) চালু করতে যাচ্ছে সাতক্ষীরা সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল্স। এর আগে কয়েক দফায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে মিলটি পুনরায় উৎপাদনে ফিরে যাচ্ছে বলে বিটিএমসি সুত্রে জানা গেছে। আর এ জন্য খুব শীঘ্রই আন্তজার্তিক দরপত্র আহবান করা হবে বলে জানা গেছে।
এই বস্ত্রকলটি চালু হলে সাতক্ষীরা জেলার অন্তত ৩ থেকে ৪ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যে মিলের সমদুয় যন্ত্রপাতি, অবকাঠামো এবং অন্যান্য সম্পদের হালনাগাদ বিবরন দিতে মিলের ব্যবস্থাপকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। দু‘একের মধ্যে বিটিএমসি বরাবর ঐ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুন্দরবন টেক্সটাইলস্ মিলের মহাব্যকস্থাপকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসকের পাশে তালতলা এলাকায় ৩০ একর জমির উপর প্রতিষ্টিত হয় সুন্দরবন টিক্সটাইলস্ মিল। এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই মিলটি ব্যাপক লাভে চলে যায়। এরপর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে চরম লোকসানে পতিত হয় এ সম্ভবমনায় মিলটি। একপর্যায়ে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মিলটি বিভিন্ন মেয়াদে ১৩টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়।
এসব প্রতিষ্টানগুলো হচ্ছে নারায়নগঞ্জের ১৬২/২ এস.এম মালেহ রোডে অবস্তিত মেসার্স হক ট্রেডার্স, একই এলাকার মেসার্স স্টার ট্রেডিং, মেসার্স এস.কে ট্রেডার্স, যশোরের কাপড় পোট্রি এলাকার রাসেল ক্লথ, এর পর নারায়নগঞ্জের মেসার্স এস.কে ট্রেডার্স, মেসার্স কসমো পলিটন ট্রেডার্স, নারায়নগঞ্জের মেসার্স সুমা ইয়ার্ন ষ্টোর, কুষ্টিয়ার রায়তুল ইন্ড্রাষ্টিজ, নারায়নগঞ্জের মেসার্স ন্যাশনাল ট্রেডার্স, মেসার্স আব্দুল গনি ট্রেডার্স, মেসার্স মোস্তাফা ফারুক, নারায়নগঞ্জের জি.আর ইন্টারন্যাশনাল এবং সর্বশেষ নারায়নগঞ্জের সুমা ইয়ার্ন স্টোর। এসব প্রতিষ্টানগুলো চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পরিচালনা করতে না পেরে পুনরায় বিটিএমসি বরাবর ফেরৎ দেয়।
সাতক্ষীরা সুন্দরবন টেক্সটাইলস্ মিলের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, মিলটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) চালু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিটিএমসি‘র পক্ষ থেকে একটি পত্র পাওয়া গেছে। যাতে মিলের সমদুয় যন্ত্রপাতি, অবকাঠামো এবং অন্যান্য সম্পদের হালনাগাদ বিবরণ দিতে বলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরার সম্ভাবমনাময় এই সুতা উৎপাদনকারী মিলটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপে (পিপিপি) চালু হলে এ জেলার অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। একই ভাবে জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে পারবে।