দেশের খবর: গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামে দলটির বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নাসিমন ভবনের নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কের একপাশে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি নেত্রী নন, সব গণতন্ত্রকামী মানুষের নেত্রী। সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য থানায় থানায়, ইউনিয়নে ইউনিয়নে যেতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে।’
এ সমাবেশে আবারও নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন করে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিবন্ধী নির্বাচন কমিশনারে পরিণত হয়েছেন। এই ইসি বাতিল করতে হবে। সবার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার ১০-১২ বছর আগে ছলচাতুরীর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তারা এখন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে খালেদা জিয়াকে ১৬ মাস ধরে কারাগারে আটক করে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে ২৪টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তিনি ঠিকমতো খেতে পারেন না, ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। সরকার তাকে নূ্যনতম চিকিৎসা করাচ্ছে না।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে দেশে এখন নৈরাজ্য চলছে। কোথাও জবাবদিহি নেই। মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। একেক জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩০-৪০টি করে মামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ১৯৭২-৭৩ সালের কায়দায় প্রশাসনকে ব্যবহার করে হত্যা-নির্যাতন চালাচ্ছে।’ বাজেট ঘোষণা করার পর জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশে নাকি উন্নয়নের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এখন মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুট চলছে।’ তারেক জিয়ার কথা প্রচার করতে না দেওয়ায় সমাবেশে ক্ষোভ জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামে এই বিভাগীয় সমাবেশ হয়। এতে বিপুল লোকসমাগম ঘটে। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।