আসাদুজ্জামান: গত ২২ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় মোট ১০৬ জন ডেঙ্গু রোগীকে সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ৩৮ জন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন আরো ৬২ জন এবং অন্যত্র রেফার করা হয়েছে আরো ৬ জনকে। আক্রান্তদের অধিকাংশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আরো অল্প সংখ্যক রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা মূলক র্যালি, মশা নিরোধক ঔষধ (ক্রিম) বিতরন, ঔষধ ছিটানো, আলোচনাসভা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ নানা জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করেছেন। অপরদিকে, জেলায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে ইতিমধ্যে সাংবাদিক ও পুলিশসহ ১২০০ জনের মাঝে মশা নিরোধক ক্রিম বিতরন করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন জানান, সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন অনেকেই। তবে, হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন তারা এখন আশংকামুক্ত। আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ফিরে এসেছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সদর হাসপাতালে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু কর্ণার নামে একটি মেডিকেল ক্যাম্প।
তিনি এ সময়, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার কামড় থেকে দূরে থাকাসহ মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য বাড়ির আশ পাশ পরিষ্কার করা ও পরিত্যক্ত জিনিস পত্র বোতল, নারকেলে খোসা, টায়ারসহ অন্যান্য জিনিস পত্র পরিষ্কার রাখা এবং ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্তদের পানি ও পানি জাতীয় খাদ্য ( ডাব, শরবত, পেঁপে) বেশী খাবার পরামর্শ দেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট