দেশের খবর: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি শুধু একজন সরকার প্রধানই নই, একজন মা-ও। মা হিসেবে আবরার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করবো।’ মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি পেতেই হবে। কাউকে একচুলও ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। এর সঙ্গে জড়িতদের ধরা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অনেকে আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। আমি ফুটেজগুলো সংরক্ষণ করতে বলেছি। শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, আমি একজন মা হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার করব।’
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ছাত্রলীগকে চুপ থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সন্ধানী এখান থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে। তাদের সফল হতে দেওয়া যাবে না।’
এ সময় হত্যাকাণ্ডের পরপরই বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের দ্রুত ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ক্যাম্পাসে যাওয়া উচিত ছিল। উনি কেমন ভিসি? একটা ছাত্র মারা গেল, আর তিনি এতটা সময় বাইরে ছিলেন? আবরারের জানাজায়ও তার অংশ নেওয়া উচিত ছিল।’
এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।