দেশের খবর: পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক (ওয়ান টাইম) পণ্যের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে এক বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত এক হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এক বছরের মধ্যে দেশের উপকূলীয় এলাকায়, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার, বহন, বিক্রি ও বাজারজাতকরণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইন অনুসারে নিষেধ পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি কঠোরভাবে কার্যকর করতে বাজার তদারকি, উৎপাদন, কারখানা বন্ধ ও যন্ত্রপাতি জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে (এক বছর) হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁয় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা আকারে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই বছরের ১০ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয় কার্যতালিকায় আসবে, বলেছেন আদালত।
পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের যত্রতত্র ব্যবহার, উৎপাদন ও বিক্রির বৈধতা নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিসহ (বেলা) ১১টি সংগঠন এ রিটটি করেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
রুলে আইনের অনুসারে নিষেধ পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যাগ এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যের নিরাপদ বিকল্প নিরূপণে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য কেন একটি কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বন ও পরিবেশ সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্যসচিব, বস্ত্র ও পাট সচিবসহ আট বিবাদীকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।