নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শবদলপুর গ্রামের চন্দনা সরকারের বয়স ৮৮। সাত বছর আগে স্বামী পতিত পাবন সরকার মারা গেছেন। চার ছেলে ও তিন মেয়ের জননী তিনি। থাকেন অসুস্থ ছেলে জয়দেব সরকারের কাছে। জয়দেন নিজে ও তার স্ত্রী সুলতা সরকারও অসুস্থ। পুতনি খলিষানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গে ঠাকুর মাকেও দেখভাল করে সে। তাই এখনো পর্যন্ত কোন রকমে বেঁচে আছেন চন্দন সরকার।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে শবদলপুর গ্রামে গেলে আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, ছেলেদের অনেকেরই ভাল চলে। কিন্তু তারা তেমন কোন খোঁজ খবর নেয় না। অর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকার কারণে তার কাপড় চোপড়ও ঠিক মত কেনা হয়না। স্থানীয় মেম্বর ও চেয়ারম্যানদের বলেও এতদিনে একটি বিধবা ভাতা বা বার্ধক্য ভাতার কার্ড জোটেনি। বড় লোকদের জন্য কম্বল জুটলেও প্রচণ্ড শীতে তিনি একটি কম্বল পাননি। আর কত বয়স হলে বিধবা ভাতা বা বার্ধক্য ভাতা কপালে জুটবে তা তিনি জানেন না। এ নিয়ে হতাশ চন্দনা সরকারের ছেলে জয়দেব ও পুত্রবধু সুলতা সরকার।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বলেন, শুধু কম্বল কেন, তাকে বার্ধক্য ভাতার কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে কেউ তাকে বলেনি। এ বার তিনি উদ্যোগ নেবেন।