প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার কামালনগরের লম্পট আলমগীর হোসেনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, একই এলাকার মৃত আলী হোসেন সরদারের মেয়ে ভুক্তভোগী অসহায় মারুফা আক্তার মায়া। (সাবেক সাং-পদ্মবেহুলা, পাইথলি, আশাশুনি।)
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আমার অসহায় বৃদ্ধা মা ও একটি এতিম অসুস্থ সন্তান নিয়ে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরের আসমানী শিশু নিকেতনের পাশে সাড়ে তিন শতক জমির উপর বসবাস করে আসছিলাম। একপর্যায়ে একই এলাকার মৃত গোলাম মোর্তজার ছেলে শেখ আলমগীর হোসেনের পরিচয় হয় (যার হাল সাং-লাবসা দরগা, সাতক্ষীরা)। সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আজ থেকে দীর্ঘ সাত বছর পূর্বে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আমার নিকট থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহন করে। আমাকে তার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে উপরোক্ত জমিতে বসবাসের জন্য টিনের ঘর নির্মাণ করে দেয় এবং সেখানে সীমানা প্রাচীর দিয়ে পাকা টয়লেট, টিউবওয়েল ও গাছ রোপন করে। এলাকাবাসীর জ্ঞাত সারে সে প্রতিনিয়ত আমার স্বামী হিসেবে সেখানে যাতায়াত করতো এবং সাংসারিক যাবতীয় খরচও প্রদান করতো। বর্তমানে উক্ত লম্পট চরিত্রহীন নারীলোভী ও বহু বিয়ের নায়ক জামায়াত নেতা আলমগীর আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে এমনকি আমার পাওনা ৭ লাখ টাকা পরিশোধ না করে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য বেআইনিভাবে আমার জমিতে প্রবেশ করিয়া জীবননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জমির উপর থেকে উচ্ছেদসহ পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরই জেরে গত ১৪/০১/২০ তারিখ ৬ টার সময় ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হালিম আমাকে উক্ত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি প্রদান করে ও গ্রেফতারের ভয় দেখায় এবং এক দিনের সময় বেধে দেয়। বর্তমানে আমি আমার বৃদ্ধা মা ও এতিম অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি (মায়া) উক্ত লম্পট আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, তার বৃদ্ধা মা ফাতেমা ও অসুস্থ সন্তান নীরব।##