নিজস্ব প্রতিনিধি : জয়নাল আবেদিনের বয়স এখন ৮২। তা সত্ত্বেও শরীরে শক্তি কিন্তু মোটেও কম নেই। মনোবল তো আরও বেশি। এই তো সেদিনও সাতক্ষীরায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজ বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বেলেডাঙ্গায় সাইকেল চালিয়ে ফেরেন রাত আড়াইটার পর।
বয়সের ভারযুক্ত সেই জয়নাল আবেদিন এবারও চড়েছেন নিজের সাইকেলে। উদ্দেশ্য রাজশাহীর নওদাপাড়ায় পৌছানো। সেখানে তিনি বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি পৌছেছেন কুষ্টিয়ার জোতপাড়ায়। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে বুধবার ভোরে তিনি রওনা হবেন রাজশাহীর পথে। এর আগে সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে জয়নাল আবেদিন ঝিনাইদহের লক্ষীখোলায় পৌছান জয়নাল। সেখানে রাত কাটিয়ে তিনি মঙ্গলবার রওনা হন কুষ্টিয়ার দিকে। তবে মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে তিনি খানিকটা জবুথবু হয়ে পড়েন।তিনি বলেন বৃষ্টির কারণে পথ এগুতে পারিনি। সাতক্ষীরা থেকে রাজশাহীর ভৌগলিক দুরত্ব ২৭০ কিলোমিটার।জয়নাল আবেদিন এই দূরত্বকে খুব বেশি মনে করেন না। তিনি বলেন আমি তো বেশ আয়েশেই যাতায়াত করে থাকি। কোনোদিন কোনো অসুবিধা হয়নি।
জয়নাল আবেদিনের সাইকেল চেপে রাজশাহী যাত্রা এবার নিয়ে ১৬ তম। প্রতিবছর এই সময় নির্ধারিত দিনে তিনি সাইকেল চালিয়ে চলে যান রাজশাহী। ফেরেনও একইভাবে সাইকেলে। তিনি বলেন যতদিন বেঁচে থাকবো, শরীরে শক্তি ও মনের জোর থাকবে ততদিন আমি সাইকেলেই আসতে চাই রাজশাহীর সম্মেলনে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় কুষ্টিয়ার জোতপুর থেকে জয়নাল আবেদিনের সাথে কথা হয় সাতক্ষীরার এই সংবাদকর্মীর। তিনি বলেন এখান থেকে আর মাত্র ছয় ঘন্টা একটানা সাইকেল চালালে আমি পৌছে যাবো রাজশাহীর নওদাপাড়ায়।
জয়নাল আবেদিনের সাথে রয়েছে কিছু শুকনো খাবার। চিড়ে মুড়ি গুড় পাটালি। আছে পানি, কিছু ট্যাবলেট। আর সামান্য কিছু টাকা। সাথে রয়েছে তার বাহক চকচকে ঝকঝকে পরিষ্কার একটি বাইসাইকেল। বেল বাজিয়ে তিনি বেশ দক্ষতার সাথে সাইকেল চালিয়ে নিজের বয়সকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট