চিকিৎসকদের মতে, আট মাসের একটি মেয়েশিশুর গড় ওজন হয় ছয় থেকে নয় কেজি। কিন্তু এই বয়সে ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরের মেয়েশিশুর ওজন হয়েছে ১৭ কেজি। শিশুটির নাম চাহাত।
বৃহস্পতিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চার মাস বয়স থেকে শিশুটির ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। বাবা-মা শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কেবল দ্বিগুণই নয়; সে এখন ১০ বছর বয়সের একটি শিশুর সমান খাবার খায়। শিশুটির এই অস্বাভাবিক বেড়ে ওঠার কারণ তিনি জানেন না। এ ধরনের কোনো শিশুকে তিনি এই প্রথম দেখছেন।
গত ১৩ এপ্রিল একটি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে চাহাতের বাবা সুরাজ কুমার বলেন, ‘মেয়েটি এই বয়সের অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষুধার্ত থাকে। সে প্রায়ই দুধ ও খাবার চায়। দিনের পর দিন তার ওজন বেড়েই চলছে।’
চাহাতের মা রীনু কুমার বলেন, ‘চাহাত যখন জন্ম নেয়, তখন সে অন্য স্বাভাবিক শিশুদের মতোই ছিল। চার মাস পর আমরা বুঝতে পারি তার ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।’
চাহাতের ওজন দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তার বাবা-মা। তাঁরা যখন চিকিৎসকের কাছে যান, চিকিৎসক শিশুটির রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন। তবে শিশুটির শরীরের চর্বি জমে যাওয়ায় রক্তের নমুনা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চিকিৎসক বাসুদেব শর্মা জন্মের পর থেকেই শিশুটিকে দেখছেন। তিনি জানান, জন্মের চার মাস পর দ্রুত এত ওজন বাড়া কোনো শিশুকে তিনি এই প্রথম দেখেছেন।
সাক্ষাৎকারে বাসুদেব বলেন, ‘আমরা শিশুটির বাবা-মাকে অমৃতসরের সরকারি হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিই। যদিও প্রচুর চর্বি জমায় শিশুটির রক্তের পরীক্ষা ঠিকমতো করা সম্ভব হয়নি।’
বাড়তি ওজনের কারণে শিশুটি শ্বাসক্রিয়া ও ঘুমের সমস্যায় ভুগছে। শিশুটির বাবা-মা চান, সে যেন অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যকর জীবন লাভ করে। কিন্তু ওজন বাড়ার এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেবেন—সে বিষয়ে শিশুটির বাবা-মার কোনো উপায় জানা নেই।