দেশের খবর: বাংলাদেশের যারা মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন তাদের সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য কোনো স্বাস্থ্য সনদের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেছেন, বিদেশফেরতরা ১৪ দিন ঘরে থাকুন। আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখছি তারা কোয়ারেইন্টাইনে থাকছেন না। আমরা অনুরোধ করেছি এতদিন। সরকারের সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ তারা মানছেন না। সেক্ষেত্রে আমরা সংক্রামক ব্যাধি আইন প্রয়োগ করতে পারি। কিন্তু আমরা শক্ত পদক্ষেপে যেতে চাই না।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকাল সোয়া ১০ দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনায় আক্রান্তের পর যে দুই জন সুস্থ হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ আরেকজন বাড়ি যাননি। কারণ তার পরিবারের একজন অসুস্থ এবং বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা সবাই কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সেজন্য তাকে হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। বাকি আরেকজনের রিপোর্ট এখনও পজিটিভ আসেনি।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, চীনের পরিস্থিতি অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু চীনের বাইরে বেশ কিছু দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ছোটদের বা যাদের বয়স কম তাদের মৃত্যুর হার কম। বৃদ্ধদের মৃত্যুর হার বেশি। তিনি বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থতায় যারা ভুগছেন তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সৌদি দূতাবাস জানিয়েছে, যারা সৌদি আরবে যাবেন তারা যেন সরাসরি ফ্লাইটে যান। ট্রান্সজিট আছে এমন ফ্লাইটে না যান। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসার মেয়াদ বাড়াবে। তাই আমাদের যেসব শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
এই কর্মকর্তা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ১৮৭ জনের। তবে নতুন করে কারও শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, নতুন করে কোনও রোগী নেই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।