দেশের খবর: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৪ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি এবং বিশ্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরার আগে ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৯২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, এই নমুনা পরীক্ষায় আরও ৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জন মারা গেছেন। এতে মৃতের সংখ্যা ১৭। নতুন করে কেউ সুস্থ হননি। অর্থাৎ করোনায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩৩-ই আছে।
আইইডিসিআর পরিচালক জানান, আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ১৩ জন। নতুন করে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ চারজন, নারী একজন। দুজন ঢাকার, তিনজন ঢাকার বাইরের।
ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, অন্যান্য দিন এই অনুষ্ঠানকে আইইডিসিআরের অনলাইন প্রেস ব্রিফিং বলা হলেও এটিকে এখন থেকে দৈনন্দিন হেলথ বুলেটিন বলব আমরা। এখন থেকে আর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে কোনো প্রশ্ন গ্রহণ বা উত্তর দেয়া হবে না।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ। মারা গেছেন প্রায় পৌনে এক লাখ মানুষ। তবে দুই লাখ ৮৬ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে প্রায় নিয়মিত কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর দিচ্ছিল আইইডিসিআর। এরমধ্যে ৫ এপ্রিল একবারে ১৮ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। আর তার পরদিন ৬ এপ্রিল নতুন করে ৩৫ জন শনাক্ত বলে জানানো হয়। সবশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৪। মারা গেছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সে বিষয়টি মাথায় রেখে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সর্বশেষ মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আহ্বানও রয়েছে। এছাড়া, মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।