দেশের খবর: ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ ৪৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মেডিক্যাল কলেজসহ জেলায় চিকিৎসক, নার্সসহ ৬৭ জন স্বাস্থ্য কর্মী করোনা পজিটিভ এসেছে। তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া, নিম্মমানের পিপিই ও মাস্ক ব্যবহারের কারণেই একের পর এক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক নেতারা।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানান, তথ্য গোপন করে বেশ কয়েকজন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ১৯ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স ও ১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
একের পর এক চিকিৎসক-নার্স ও কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালের আইসিইউসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছয় জন চিকিৎসক, ছয় জন নার্স ও ৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্য গোপন করে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার কারণেই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন দাবি করে সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্ত হওয়ার জন্য শুধু নিম্ন মানের পিপিই ও মাস্ককে দায়ী করা যাবে না।
অন্যদিকে জেলার বিএমএ সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, একের পর এক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে তথ্য গোপন করে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া একটি বড় কারণ। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নিম্ন মানের পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করায় এসব সুরক্ষাসামগ্রী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে আসছে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সব রোগীকেই করোনা পজিটিভ ধরেই চিকিৎসা দিচ্ছেন ডাক্তাররা। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসককে যদি মানসম্মত পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা হতো, তাহলে এভাবে তারা আক্রান্ত হতো না।