স্পোর্টস ডেস্ক : যেমনটা চেয়েছিলেন ঠিক তেমনটাই হলো মিসবাহ উল হক ও ইউনিস খানের শেষের শুরু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাবেন পাকিস্তানের দুই তারকা ব্যাটসম্যান। আর তাদের এ বিদায়ী সিরিজের শুরুতে ঝলমলে ইয়াসির শাহ। তার স্পিন নৈপুণ্যে মঙ্গলবার জ্যামাইকার কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
চতুর্থ দিন ইয়াসির শাহের ঘূর্ণিতে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ উইকেটে ৯৩ রানে শেষ দিন শুরু করেছিল তারা। মঙ্গলবার উইন্ডিজদের আরও কাবু করে দেয় পাকিস্তানের পেসাররা। ভিসাউল সিংয়ের অফস্টাম্প উপড়ে ফেলেন মোহাম্মদ আমির। ওই শুরু, মোহাম্মদ আব্বাসের জোড়া আঘাতে আরও ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। এক ওভারেই তিনি দেবেন্দ্র বিশু ও শেন ডউরিচকে সাজঘরে ফেরান।
ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার আউট হওয়ার পর আবার ইয়াসিরের জাদু। এ লেগস্পিনার তার ২২তম ওভারে আলজারি জোসেপ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫২ রানে সব উইকেট হারায়। ইয়াসির তার টেস্ট ক্যারিয়ারে নবমবার এক ইনিংসে ৫ বা তার বেশি উইকেট নেন। এ পাকিস্তানি স্পিনার ২১.৪ ওভারে ৪টি মেডেন দিয়ে নেন ৬ উইকেট, তার বলে স্বাগতিকরা ৬৩ রান নিতে পেরেছে। প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজদের ২৮৬ রানে বেধে দিতে ২ উইকেট নেন ম্যাচসেরা ইয়াসির।
পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩২ রানের। সফরের প্রথম টেস্ট অনায়াসে জিতেছে তারা। কিন্তু হোঁচটও খেয়েছে শুরুতে। মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে দুই ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও আজহার আলী উইকেট হারান। লাঞ্চ বিরতির পর আরও একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইউনিস ৬ রানে আউট হন। দলের জয়ের সময় ১২ রানে টিকে ছিলেন মিসবাহ, আর ৯ রানে খেলছিলেন বাবর আজম। ১০.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৬ রান করে সফরকারীরা।
বিদায়ী সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিসবাহ ও ইউনিস দুজনেই ছিলেন উজ্জ্বল। এ ম্যাচে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ইউনিস। ৫৮ রান করেন তিনি। আর ব্যাটসম্যানদের সহযোগিতার অভাবে মিসবাহ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৮৬ ও ৫২.৪ ওভারে ১৫২
পাকিস্তান: ৪০৭ ও ১০.৫ ওভারে ৩৬/৩; টার্গেট: ৩২
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে পাকিস্তান।