আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার তালায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আব্দুস সালাম (৩৬) নামে এক মফস্বল সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলা সদরের বারুইহাটি গ্রামের সীরাত আলী মোড়লের ছেলে। বুধবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তবে, তার পরিবারের দাবী জ্বর ও লিভার জনিত রোগে তার মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, গত ৪/৫ আগে থেকে তিনি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও লিভার জনিত রোগে ভুগছিলেন। বুধবার তিনি তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেেেক্স ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই বিকালে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে তাকে ভর্তি করতে না পেরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মীর্জাপুর এলাকায় পৌছালে তিনি মারা যান।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজিব সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতব্যক্তির পরিবারের সবারই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সাথে নমুনা টেষ্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং তার বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন তাদের দেখভাল করবেন বলে তিনি আরো জানান।
মৃত ব্যক্তির চাচাতো ভাই ইউনুছ মোড়ল চিকিৎসকদের অবহেলায় তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, তার গায়ে জ্বর থাকায় ও লিভারজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় সদর হাসপাতালে তাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানেও তাকে ভর্তি না করতে পেরে খুলনায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে তিন জনের রিপোর্ট ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। তিন জনের রিপোটর্ই নেগেটিভ এসেছে।
অপরদিকে, সাতক্ষীরায় মোট ৩ হাজার ৫৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া, এ জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর ও পিসিআরল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ১৮৯ টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।