দেশের খবর: করোনায়ই মারা গেছেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। এ তথ্য জানিয়েছেন তার ছেলে আনন্দ জামান। বৃহষ্পতিবার (১৪ মে) রাতে আনন্দ জামান বলেন, ড: আনিসুজ্জামানের মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নেয়াসহ অন্যান কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান আনিসুজ্জামান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
আনন্দ জামান জানান, সিএমইএইচের চিকিৎসকরা রাতে বাবার শরীর থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করেন। এতে বাবার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। রাতে লাশ মর্গে থাকবে, সকালে আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আজিমপুরে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বাবার কবরের পাশে তাকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে তা পরিবর্তীত হতে পারে বলে জানান আনন্দ জামান।
তিনি বলেন, শুক্রবার এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের ইচ্ছা থাকবে দাদার কবরের পাশে তাকে দাফন করার। তবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অনুয়ায়ী যে সিদ্ধান্ত হবে সে অনুয়ায়ী দাফন হবে।
তিনি শুক্রবারের সব কর্মসূচী বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান।
এর আগে আনিসুজ্জামানের মরদেহ বাংলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় পরিবার।
২৭ এপ্রিল ৮৩ বছর বয়সী এই অধ্যাপককে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আনিসুজ্জামনকে। ৯ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে। তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।