দেশের খবর: রংপুরে ঈদ উদযাপনে নেশা জাতীয় বিষাক্ত মদপানে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মদপানে ৯জনের মৃত্যু হলো। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
বুধবার (২৭ মে) দুপুরে রমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন মৃত তিনজন হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নুর ইসলাম (৩০), রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের সরোয়ার হোসেন (৩১) ও মোস্তফা কামাল (৩০)।
তাদের মধ্যে নুর ইসলাম বুধবার সকালে এবং মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে সরোয়ার ও মোস্তফা কামাল মারা যান।
এর আগে গত দুইদিনে পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করলেও স্থানীয় সূত্রে ছয়জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও আট থেকে দশজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চন্দনপাট ইউনিয়নের খইল্লাপাড়া ও পুটিমারী সরোয়ার হোসেন ও মোস্তফা কামাল এবং বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে নুর ইসলাম মারা গেছেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে মোস্তফা ও সরোয়ারের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদকে ঘিরে একটি সংঘবদ্ধ দল শ্যামপুর বাজার এলাকায় মদ ও বিষাক্ত স্পিরিট পানের আসর বসায়। ঈদের দিন সোমবার (২৫ মে) রাতে নেশা জাতীয় নিষিদ্ধ স্পিরিট পান করেন কয়েকজন। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাদের রমেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে সরোয়ার হোসেন ও মোস্তফা কামাল এবং বুধবার সকালে নুর ইসলাম মারা যান। মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে তাদের দাফন করেন স্বজনরা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, নেশা জাতীয় স্পিরিট পান করে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেশার উৎস এবং সরবরাহকারীকে খুঁজে বের করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে রংপুরের পীরগঞ্জে বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃতরা হলেন- খোলাহাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), রায়তি সাদুল্যাপুর গ্রামের দুলা মিয়া (৫০), বড় পাহাড়পুর গ্রামের জায়দুল হক (৩৫), হরিরাম সাহাপুর গ্রামের লুলু মিয়া (৩০), বড় পাহাড়পুর গ্রামের সেলিম মিয়া (৫০) এবং মিঠাপুকুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের চন্দন কুমার (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মদপানে অসুস্থ ও মারা যাওয়া ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ দল। প্রায়ই তারা শানেরহাট বাজারে মদের আসর বসাতেন। সোমবার ঈদের দিন মদপানের পর বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়।