দেশের খবর: সীমিত আকারে আগামী রোববার থেকে অফিস খোলার সিদ্ধান্ত হলেও সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে নিয়মিত আদালত খুলছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে নিয়মিত আদালত বন্ধ থাকায় জরুরি মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (৩০মে) এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল রোববার থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এই ১০টি একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এই ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানিতে আগ্রহী আইনজীবীদের ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ অনুসরণ করতে হবে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া, মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানকে ভার্চুয়াল আদালতের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
শনিবার জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে ফৌজদারি মোশন ও সংশ্লিষ্ট জামিনের আবেদন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে রিট, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমকে ফৌজদারি মোশন ও সংশ্লিষ্ট জামিনের আবেদন, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনকে ফৌজদারি মোশন ও সংশ্লিষ্ট জামিনের আবেদন, বিচারপতি জে বি এম হাসানকে রিট, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদারকে দুদক ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলা ও সংশ্লিষ্ট জামিন আবেদন, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে ফৌজদারি মোশন ও সংশ্লিষ্ট জামিনের আবেদন, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়াকে দেওয়ানী মোশন ও সংশ্লিষ্ট আবেদন, মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারকে ভ্যাট, কাস্টমস, অ্যাডমিরালটি, ব্যাংক কম্পানি আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনের আবেদন এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানকে রিট আবেদনের শুনানির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এজন্য প্রথমে তিনটি একক বেঞ্চ (বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ) এবং পরবর্তীতে আরো একটি বেঞ্চ (বিচারপতি জে বি এম হাসান) গঠন করা হয়েছিল।