নিজস্ব প্রতিনিধি: নিখোঁজের ১০দিন পর স্কুলছাত্র মইনুল ইসলামের(১৫) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাকালে আব্দুস সবুরের পরিত্যক্ত ইটভাটার একটি সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত মঈনুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরকী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও সে সাতক্ষীরার ভোকেশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম হুমায়ুন কবীর (৩৬)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ সরদারের ছেলে।
পাঁচরকী গ্রামের শাহীনুর রহমান জানান, তার ভাই মঈনুল ইসলাম সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। মাঝে মাঝে সে ইজিবাইক চালাতো। গত ৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। সারা রাত খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না মেলায় ঈদের দিন তার চাচা আফছার আলী সদও থানায় ২০ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। সে অনুযায়ি পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার সকালে সদরের আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে হুমায়ুন কবীরকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি সোমবার দুপুরে হুমায়ুন কবীরের শ্বশুর বাড়ি শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে মঈনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে শহরতলীর বাঁকালে আব্দুস সবুরের মালিকানাধীন একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ মঈনুলের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
সদর থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, হুমায়ুন কবীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং তার দেখিয়ে দেওয়া মতে মইনুলের ব্যবহৃত ইজিবাইক ও পঁচাগলা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
পূর্ববর্তী পোস্ট