আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বাগালীতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ আগষ্ট শুক্রবার বেলা ২টার দিকে বাগালী গ্রামের ওমর শরীফের বাড়ির সামনের ইটের সোলিং রাস্তার উপরে। এ ঘটনায় নুর ইসলাম গাজী (মন্টু) গং এর তিনি নিজেসহ তার ভাই মুছা গাজী ও ভাইপো ফিরোজ হোসেন গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়েছে। মুছা গাজী ও ফিরোজ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের দুজনকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তাদেরকে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আহত নুর ইসলামকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমান গাজী গং এর আহত বাগালি গ্রামের আবদুস সবুর গাজীর ছেলে গোলাম রব্বানী, মৃত ওয়াজেদ আলী গাজীর ছেলে আনার আলী গাজীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় দুই পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যাতায়াতের পথ কেন্দ্রিক দীর্ঘদিন থেকে নুর ইসলাম গং এবং সামছুর রহমান গং এর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সর্বশেষ গত ২৮ আগষ্ট শুক্রবার বিকাল ২টার দিকে নুর ইসলাম এবং তার ভাই মুছা গাজী বাগালী জামে মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে ওমর শরীফের বাড়ির সামনে ইটের সোলিং এর উপর পৌছালে বিএনপি নেতা সামছুর রহমান গাজীর নেতৃত্বে স্থানীয় আনসার আলী গাজী, আফসার আলী গাজী, রব্বানি গাজী, তজলু রহমান, মাজেদ গাজী, আমজাদ গাজী, আরিফ গাজি, শরিফ গাজী, এবাদুল গাজী, ফজলু গাজী সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে নুর ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে জানান, সামছুর গাজীর লোকজন আমাদের উপর হামলা করে আমাদেরকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের উপর হামলা করতে এসে তাদের একজন ইটের সোলিং এর উপর পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে আমাদের নামে মামলা করার পাঁয়তারা করছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে দুটি অভিযোগ আমি পেয়েছি । আমাদের একজন অফিসার এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে নিয়োজিত আছেন। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।