অনলাইন ডেস্ক : বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার কিছুক্ষণের মধ্যে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করবেন।
সকাল ৯টায় বাবা মোজাম্মেল হক কিশোরের সঙ্গে মিন্নি আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। কিশোর বলেন, ন্যায় বিচার পেলে আমার মেয়ে মিন্নি নির্দোষ প্রমাণিত হবে। আর কারো প্রভাব থাকলে মিন্নি ফেঁসে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ‘মিন্নির সপক্ষে আদালতে আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আশা করি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।’
গত রাতে রিফাতের বাবা আব্দুল হালিমের নিরাপত্তায় দুজন গানম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া, রিফাতের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মহরম আলী বলেন, ‘রিফাত হত্যার মামলার রায়কে ঘিরে আদালত চত্বরে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। মামলার বাদীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত চত্বরের পাশাপাশি শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তল্লাশি করা হচ্ছে।’
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ভূবন চন্দ্র হালদার বলেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ এই আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১০ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে। মামলার বাকি ১৪ আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার বরগুনার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।
মিন্নি ছাড়া এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন। চার্জশিটভুক্ত আসামি মো. মুসা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে ভাগ করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় এ মামলায়।