আসাদুজ্জামান : সড়কধারে গাছের ডালে একটি বাজারের ব্যাগের মধ্যে ঝুলানো ছিল নবজাতক শিশুটি। মাত্র ১ দিন বয়সের শিশুটি এখন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফুটফুটে শিশুটির স্থানীয় ভাবে নাম রাখা হয়েছে মহারাজ। এদিকে রাজপুত্রের মতো চেহারার ওই শিশুটিকে দত্তক হিসাবে পাওয়ার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্কুল শিক্ষক, চিকিৎসক, পুলিশ কর্মকর্তাসহ অনেকেই আবেদন জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কাকশিয়ালী রাস্তার পাশে একটি শ্মশানের কাছে গাছে ঝুলন্ত ছিল শিশুটি। পথচারীরা দেখতে পেয়ে ব্যাগটি নামিয়ে দ্রুত শিশুটিকে নিয়ে যান স্থানীয় সার্জিক্যাল ক্লিনিকে। পরে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে শুরু হয় তার চিকিৎসা।
সামাজিকভাবে অপমানের ভয়ে নিজের সন্তানকে ফেলে দিয়ে গেলেন তার মা। অবৈধ মেলামেশার ফসল নিষ্পাপ শিশুটি কেন জন্মলগ্ন থেকেই নির্যাতনের শিকার হবে, এটাই এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা । যদিও পুলিশ বলছে অপরাধী মহিলাসহ জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, কুড়িয়ে পাওয়ার মাত্র ২-৩ ঘন্টা আগে শিশুটির জন্ম হয়েছে। কে বা কারা তাকে ঝুলিয়ে রেখে যায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি শিশুটি সম্পর্কে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে নিজ হেফাজতে রাখেন। এরই মধ্যে ফুটফুটে ছেলে শিশুটির ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ছবি দেখে এই নবজাতককে দত্তক নিতে শুরু হয় হুড়োহুড়ি।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল জানান, এতক্ষন পর্যন্ত তার কাছে ৮টি আবেদন এসেছে। এছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ আসছে। তিনি জানান, শিশুটিকে আরও একটু সুস্থ করে তুলবার পর ২-১ দিনের মধ্যে বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে দত্তক দেওয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। তবে, শিশুটি এখন সুস্থ রযেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট