অনলাইন ডেস্ক : কিছুদিন ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নিয়েছে দুইদিন আগে। বুধবারের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও তা ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। তবে তাপমাত্রা আরও কমে শুক্রবারের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ফের শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণাঞ্চলে এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এতে রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) শীত ঋতুর দ্বিতীয় মাস মাঘের ৭ তারিখ। সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা, সঙ্গে ছিল হালকা কুয়াশা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে যেতে থাকে মেঘ। মেঘের আড়াল সরে বেলা ১১টার দিকে দেখা মেলে রোদের হাসিমাখা সূর্যের মুখ।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে ১১.৩ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। পরবর্তী সময়ে তা হয়তো দেশের অন্যান্য অংশে বিস্তার লাভ করার সম্ভাবনা আছে।’
হালকা বৃষ্টি বৃহস্পতিবারের পর আর অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘শীতকালে এ ধরনের বৃষ্টি হয়েই থাকে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প নিয়ে দক্ষিণ দিকের বাতাস পূর্ব দিক থেকে আসা শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে মিশে এই বৃষ্টিটা হয়।’
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আবহাওয়া বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নিকলি ও খেপুপাড়ায়, এই দুটি স্থানে ৪ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, সিলেট ও বরিশালে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।