শিশুদের মন হাসিতে ভরা থাকে সব সময়। কিন্তু এতিম শিশু ছাব্বিরের জীবন একটু ব্যতিক্রম। তার দিকে তাকালে ফুটে উঠবে জীবন নামের গাড়িটি কখন থমকে যাবে। অথচ এই বয়সে সারাদিন ছুটে বেড়ানো, খেলাধুলা করে দিন কাটানোর কথা ছিল শিশুটি ছাব্বির হোসেন আকাশের । সমবয়সী অন্য শিশুরা যখন ক্লান্তিহীনভাবে খেলাধুলায় মত্ত থাকে, তখন মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু মো. ছাব্বির হোসেন আকাশ।
হার্টে ছিদ্র দিনের পর দিন বড় হচ্ছে।বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয় তার। একমাত্র ছেলের অসুস্থতা ঘিরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় দরিদ্র ঘরের স্বামী হারানো মাতা রোজিনা খাতুন। অসুস্থ ছেলের অপারেশনের কথা ভেবে মাতা রোজিনা খাতুন দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে। সাতক্ষীরা শহরের ১ নং ওয়ার্ডের কাটিয়া এলাকার মৃত মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মাতা রোজিনা খাতুনের একমাত্র ছেলে মো. ছাব্বির হোসেন আকাশ। সে সাতক্ষীরার সুটেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্র। জানা যায়, জন্মের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে শিশুটির। এর জন্য শিশুটির অপারেশন প্রয়োজন। লাগবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে চিন্তায় পড়েন মাতা রোজিনা খাতুন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেল, শিশুটি সব সময় মনমরা হয়ে বসে আছে। সন্তানের এমন ভাবনা দেখে মুখে হাসি নেই মাতা রোজিনার। আড়ায় বছর বয়সে হারান স্বামীকে। সেই থেকে সন্তানের দায়িত্ব পালন করছে মাতা রোজিনা। ছেলেই তার বেচে থাকার ভরসা। রোজিনা খাতুন এলাকায় বাসা বাড়িতে কাজ করে কোন রকম সংসার চালায়। ধারদেনা করে কিছু টাকা ব্যয় করে শিশু ছাব্বিরের ডাক্তার দেখাতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে এখন নিঃস্ব। অপারেশেেনর অভাবে একমাত্র ছেলে ছাব্বিরের হৃৎপি-ের ছেদ্রোর আকার বেড়ে চলেছে।
একদিকে সংসার, অন্যদিকে ছেলের চিকিৎসা করাবেন রোজিনা ? এমন মানসিক চিন্তা ঘিরে ধরেছে তাকে।
রোজিনা খাতুন জানান, জন্মগতভাবেই হাটের ছিদ্র ছিলো ছাব্বিরের। জন্মের পর স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই সে অসুস্থ হতে থাকে সে। চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাতক্ষীরায় দেখানো হয়। পরে ঢাকায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ মোঃ ইলিয়াস পাটোয়ারীকে দেখানোর পরীক্ষা-নীরিক্ষায় হার্টে ছিদ্র ধরা বড় হওয়ায় দ্রুত অপারেশন করাতে বলেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে ৫ লাখ টাকা। পরে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। চিকিৎসা না করাতে পারলে হয়তো ছেলেকে বাঁচাতে পারবেন না- এমন চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মাতা রোজিনা খাতুন। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম বলেন, পরিবারটি খুব অসহায়। জন্মের ২ বছর পরেই তার পিতা মারা যায়। পরিবারটি খুবই অসহায়। অসহায় পরিবারটিকে সবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন শিশু ছাব্বির হোসেন আকাশের মাতা রোজিনা খাতুন। চিকিৎসা সহযোগিতার জন্য এই নম্বরে- ০১৯৩৭-৭৪৩২৭২ (বিকাশ) যোগাযোগ করার আহ্বান জানান শিশু ছাব্বিরের মামা আবিদুর রহমান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
পূর্ববর্তী পোস্ট